সুপ্রিম কোর্ট সোমবা꧃র অসমের সোনাপুরে প্রস্তাবিত উৎখাত ও ভাঙচুর নিয়ে (Status Quo) জারি করল। বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ ওই উৎখাত ও ভাঙচুরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেছে। রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে।
মূলত বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়েছিলেন ৪৮জন বাসিন্দা। তাদের ♑দাবি যে ধꦗরনের উৎখাত অভিযান করা হচ্ছে তা সুপ্রিম কোর্টের নীতিবিরুদ্ধ।
আদালতের বেঞ্চ সম্প্রতি একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, যারা অপরাধমূলক কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হবে এই নীতি থেকে সরে আসুনꦇ। আদালতের অনুমতি ছাড়া এটা করা যাবে না। কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছ꧑িল আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ।
সেই সঙ্গেই বলে দেওয়া হয়েছিল কোথাও যদি বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকে সেখানে ভাঙার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। ﷽;
প্রসঙ্গত অসমের কামরূপ মেট্রো জেলার বাইরে রয়েছে এই সোনাপুর এলাকা। সেখানেই জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে সেখানে আদিবাসীদের জমিতে কিছু বেআইনি 🌸দখলদাররা রয়েছেন। তারা আদিবাসীদের জমি বেআইনিভা✨বে দখল করে নিচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোনাপুরের বাসিন্দারা অ্যাꦰডভোকেট আদিল আহমেদের মাধ্যমে আদালত অবমাননার কথা উল্লেখ করে আদালতের কাছে বিশেষ আর্জি জানান। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।
সেখানকার ব♐াসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন যে কোনও নোটিশ ছাড়াই বা কোনও শুনানি ছাড়াই একাধিক বাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে বলে নোটিশ 😼জারি করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়েছে, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মাধ্যমে ওই জমির প্রতি তাদের অধিকার রয়েছে। সেই ১৯২০ সাল থেকে এই জমি তাদের পরিবারের আওতায় রয়েছে। এই এলাকায় আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করার অনেক আগে থেকেꦉই তাঁদের পূর্বপুরুষরা এখানে থাকতেন। তা সত্ত্বেও সরকার তাঁদের বাড়িগুলিকে ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে চিহ্নিত করেছে। ভেঙে দেওয়ার জন্য লাল রঙের স্টিকার দেওয়া হয়েছে। আদালতকে তারা গোটা বিষয়টি জানান।
সেক্ষেত্রে বাসিন্দারা আদালতের কাছে আবেদন জানান যে সমস্ত আধিকারিকরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করতে হবে। কারণ আদালতের নির্দেশিত যে নিয়ম রয়েছে 🌃সেটা তারা মানতে চাননি। এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়ার জন্যও তাঁরা আবেদন করেন।