একজন রোগীর জীবন বা মরণ নির্ভর করে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে। কিন্তু, সেই অপারেশন থিয়েটারে বিয়ের আগের ফটোশুꦦটে ব্যস্ত থাকলেন একজন চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রী। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলার একটি সরকারি হাসপাতালের। চিকিৎসকের এমন কাণ্ডের ভিডি𒁏য়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনার পরে ওই চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম অভিষেক। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন: RG Kar-এ অস্ত্রোপচার চলার সময় চিকিৎসকদের মধ্যে হা🐷তাহাতি, তদন্তের নির্দেশ
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও। তিনি শুক্রবার অভিযুক্ত চিকিৎসককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলি জনসাধারণের সেবা করার জন্য। ব্যক্তিগত কাজকর্মের জন্য নয়। আমি এই ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ মোটেই সহ্য করব না।’ তিনি আরও বলেন, সমস্ত ডাক্তার, কর্মচারী এবং চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদের নির্দেশিকা অনুযায়ী তাদের দায়🍷িত্ব পালন করতে হবে। আমি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সরকারি হাসপাতালের প্রাঙ্গণ অপব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছি।’ তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালগুলিতে সরকার যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেয় তা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য। সকলেরই কর্তব্য পালনে মনোনিবেশ করা উচিত। সরকারি হাসপাতালগুলি জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য। ব্যক্তিগত কাজের জন্য নয়। জানা গিয়েছে, যে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এই ঘটনা ঘটেছে সেই হাসপাতালের নাম ভরমসাগর সরকারি হাসপাতাল।
ওই চিকিৎসকের অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে ফটোশুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপরেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন নেটিজেনরা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসক অভিষেক একজন রোগীর অস্ত্রোপচার করছেন । আর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁকে সাহায্য করছেন। আর বেশ কয়েকজন লাইট, ক্যামেরা নিয়ে ভিডিয়ো এবং ছবি তুলছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দেখে মনে হচ্ছে এটা সত্যি করে কোনও অস্ত♎্রোপচার ছিল না। কারণ অস্ত্রোপচারের বেডে থাকা ব্যক্তিকে ডাকার পরেই তিনি উঠে হাসতে থাকেন।