মুখ্যমꦗন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই অবসরের বয়স বিতর্ক নিয়ে আরএসএস এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করেছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, লালকৃষ্ণ আডবানি যদি ৭৫ বয়সে অবসর নেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন নেবেন না? এবার সেই প্রশ্ন তুলে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে চিঠি লিখলেন আপ সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষা, সিবিআই, ইডি সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করার অভিযোগ সহ একাধিক প্রশ্ন তুলে আরএসএস প্রধানকে চিঠি লিখেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:ಞ ‘আমার একটা বাড়িও নেই!’ মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো ছাড়ার পরে কোথায় থাকবেন কেজরিওয়াল?
বুধবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের কাছে ৫টি প্রশ্নের উ🥃ত্তর জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে প্রশ্ন সেটি হল বিজেপিতে অবসরের বয়স সংক্রান্ত নিয়ম। তিনি লিখেছেন, বিজেপি নেতাদের অবসরের নিয়ম ৭৫ বছর। এই নিয়মের কারণে আগে এল কে আডবানি, মুরল♔ি মনোহর যোশী এবং শান্তা কুমারের মতো প্রবীণ নেতারা দল থেকে অবসর নিয়েছেন। তাহলে মোদীর ক্ষেত্রে এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে কিনা? তাই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন কেজরিওয়াল।
এর পাশাপাশি বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেছেন আপ প্রধান। কেজরিওয়াল বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থাকে কাজে লাগানোর এবং সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ইডি এবং সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলিকে অবিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কেজরিওয়াল। আপ নেতার দাবি, এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলিকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে আরএসএস প্রধানকে তিনি প্রশ্ন করেন, এই পদ্ধতি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর কিনা?এপ্রসঙ্গে কেজরিওয়াল ভাগবতকে মনে করিয়🍃ে দেন, যে আরএসএস স👍দস্যরা নিজেদের জাতীয়তাবাদী এবং দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেন।
আরএসএস থেকেই বিজেপির উৎপত্তির কথা উল্লেখ করে কেজরিওয়াল প্রশ্ন করেন, যে ভাগবত কখনও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই ভুল অভ্যাসগুলিতে জড়িত হওয়া থেকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা? আপ সুপ্রিমো আশা প্রকাশ করেছেন, যে মোহন ভাগবত এই উদ্বেগগুলির প্রতি চিন্তাভাবনা করবেন এবং প্রতিক্রিয়া জানাবেন। তবে বাস্তবে যে এটা মোদীকে চাপে রাখার নতুন একটা পন্থা, সেই নিয়ে বিশেষ কোনও জল্পনার অবকাশ নেই।&𝓡nbsp;