গতরাতে ওভাল অফিস থেকে আমেরিকাবাসীর উদ্দেশে বক্তৃা দিয়ে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁরানোর কারণ তুলে ধরেছিলেন জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাট নেতার সেই ভাষণ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ট্রুথ-এ ট্রাম্প এই নিয়ে পোস্ট করে লেখেন, 'বৃদ্ধ বাইডেন যে ওভাল অফিস থেকে কী বললেন, সেই বক্তৃতা এত বাজে ছিল যে তা প্রায় বোঝই যায়নি।' এরপর অন্য এক পোস্টে ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকেও তোপ দাগেন। সেখানে ট্রাম্প লেখেন, 'বৃদ্ধ বাইডেন এবং মিথ্যাবাদী হ্যারিস আমেরিকার জন্য লজ্জাজনক দুই ব্যক্তি। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এমন সময় আসেনি।' (আরও পড়ুন: মমতার 'আশ্রয়' মন্তব্যের আবহে এপারে কতজন ব♏াংলাদ🍬েশি? পরিসংখ্যান দিল BSF)
আরও পড়ুন: মিಌলল মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি, বাংলাদেশের পিচে চিনকে 'আউট' করল ভারত
আরও পড়ুন: ঢাকায় মৃত্যু এক হিন্🃏দু ছাত্রীর, এখনও হিংসার বলি ২০��১, আজ কেমন আছে বাংলাদেশ?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে কয়েকদিন আগে পর্যন্ত লড়াই করার ক্ষেত্রে অনড় ছিলেন বাইডেন। তবে কেন সিদ্ধান্ত বদল করলেন এবার? প্রেসিডেন্ট প্রার্থীপদ ত্যাগ করা নিয়ে এবার দেশবাসীকে নিজের ব্যাখ্যা দিলেন বাইডেন। দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন, তিনি নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চান। তাঁর কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করতে নবপ্রজন্মকে এগিয়ে আনতে হবে। (আরও পড়ুন: কাঁওয়ার যাত্রা বিতর্ক নিয়ে US আধিকারিককে প্রশ্ন পাক সাংব𒁃াদিকের, মিলল মোক্ষম জবাব)
আরও পড়ুন: একধাক্কায় ꦜ'হাওয়া' ১ ট্রিলিয়ন ডলার! ২০ মাসে সবচেয়ে বড় ধস👍 মার্কিন শেয়ার বাজারে
বাইডেন গতꦛকাল নিজের ভাষণে বলেছিলেন, 'আমি আমার কাজকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি তার চেয়েও বেশি ভালবাসি আমার দেশকে। আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যে কোনও খেতাবের চেয়ে বেশি জরুরি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, নতুন প্রজন্মের হাতে আগামীর মশাল তুলে দেব। এটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় কঠিন পরিস্থিতিতে আমার দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি যা কাজ করেছি, তা আমার দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে যথেষ্ঠ। তবে গণতন্ত্র বাঁচানোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছুই হতে পারে না।' উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই জো বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকে যে ডেমোক্র্যাটরাই তাঁকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যেতে অনুরোধ করছিল। এহেন পরিস্থিতিতে অবশেষে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাইডেন।