মার্কিন ডলার ব্যবহার না করলেই ১০০ শতাংশ শুল্কের খাঁড়া নেমে আসবে। ব্রিকস গোষ্ঠীকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'বꩵ্রিকসের গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি ডলারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, আর সেটা বসে-বসে আমরা দেখছি- এমন দিন শেষ। ওইসব দেশগুলিকে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে তারা নতুন কোনও মুদ্রা চালু করবে না বা ক্ষমতাশালী ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনও মুদ্রার পক্ষে সওয়াল করবে না। নাহলে তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়তে হবে। আর দুর্দান্ত মার্কিন অর্থনীতিতে (নিজেদের পণ্য) বিক্রি করার চিন্তাভাবনাকে বিদায় জানাতে হবে।'
ব্রিকসে আছে ভারতও!
আর ট্রাম্প যে ব্রিকস গোষ্ঠীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাতে ভারতও আছে। ২০০৯ 💞সালে তৈরি ব্রিকস আপাতত একমাত্র বড় সংগঠন, যার সদস্য নয় আমে𝓡রিকা। ব্রিকসে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি ইরান, ইজিপ্ট, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশও আছে।
রাশিয়া ও চিনই মূলত বিকল্প মুদ্রার পক্ষে সওয়াল করেছে
গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসেবে কোনও মুদ্রা বা নিজস্ব মুদ্রা চালু করার পক্ষে সওয়াল ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির একাংশ। যে তালিকায় মূলত রাশিয়া এবং চিন আছে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস 🦹সম্মেলনে একটি নয়া ‘কমন’ মুদ্রার প্রস্তাব পেশ করেছিল ব্রাজিল। ভারত অবশ্য সেই পথে হাঁটেনি। বরং ব্রিকসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে মার্কিন ডলারকে বাদ দেওয়ার পক্ষপাতী নয়।
‘টুঁটি টিপে দেওয়ার' হুমকি ট্রাম্পের
সেই আবহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণের আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, 'আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ব্রিকস (যে নয়া কোনও মুদ্রা চালু করবে), সেটার কোনও সম্ভাবনা নেই। যে দেশ সেই চেষ্টা করবে, তাদের আমের♒িকাকে বিদায় জানাতে হবে।' অর্থাৎ ট্রাম্প স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে মার্কিন বাজারে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির পণ্যের ‘টুঁটি টিপে দেওয়া হবে।’
'ওই নীতি অন্য কারও হতে পারে….', জানিয়েছেন জয়শংকর
বিষয়টি নিয়ে আপাতত ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কোনও মন্তব্য করেনি ভারতও। তবে গত অক্টোবরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর স্পষ্টভাবে ব𝄹লেছিলেন, 'আমার মতে, আপনি অন্য কারও সঙ্গে আমাদের গুলিয়ে ফেলছেন। কারণ আমরা কখনও সক্রিয়ভাবে ডলারকে নিশানা করিনি। সেটা আমাদের অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক বা কৌশলগত নীতি নয়। সেই নীতি অন্য কারও হতে পারে।'
🌜সেইসꩵঙ্গে জয়শংকর জানিয়েছিলেন, আসল সমস্যাটা হল যে কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, যেগুলি মুদ্রা হিসেবে ডলার নেয় না। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও উপায় খুঁজতে হয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘আমরা শুধু আমাদের বাণিজ্য করার চেষ্টা করছি।’