বাংলাদেশে মহিলা সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে গ্রেফতারির অভিযোগ অস্বীকার করল পুলিশ। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে শনিবার রাতে অফিস থেকে বেরনোর পরেই ঢাকার কারওয়ান বাজারে মহিলা হিন্দু সাংবাদিককে ‘ঘিরে ধরেছিল’ একদল লোক। সেই খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলি♏শ। পরবর্তীতে সাংবাদিক🐟কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। যে মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। এমনকী একটি মামলায় তো বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি মুন্নিরও নাম আছে।
মুন্নি আপাতত একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করꦯেছেন। এখন একটি অনলাইন পোর্টালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শনিবার রাতে দাবি করা হয় 🐠যে মুন্নিকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে।
অফিস থেকে বেরোতেই ‘ঘিরে ধরা হয়’ মহিলা সাংবাদিককে
যদিও পরে রাতের দিকে পুলিশের তরফে দাবি করা হয় যে মুন্নিকে গ্রেফতার করা হয়নি। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক দাবি করেছেন যে মুন্নিকে গ্রেফতার করা হয়নি অথবা আটক করা হয়নি। শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ তিনি কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ার থেকে বের হন। অফিস থেকে বের হওয়ার পরেই মহিলা সাংবাদিককে ঘিরেღ ধরে কয়েকজন ব্যক্তি। যারা স্থানীয় বাসিন্দা বলে দাবি করা হয়েছে।
ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মুন্নিকে
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার (গোয়েন্দা) জানিয়েছেন যে ওই ঘটনায় প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা সাংবাদিক। সেই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেজগাঁও থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় তাঁকে। আর সু🍎রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার (গোয়েন্দা)।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার (গোয়েন্দা) দাবি করেছেন য🧸ে মুন্নির নামে চারটি মামলা রুজু আছে। স🍬েই মামলাগুলিতে জামিন নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মহিলা সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুন্নির ‘বিচারের’ দাবিতে স্লোগান ওঠে
সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিককে পুলিশ যখন থানায় নিয়ে যাচ্ছিল, সেইসময় তাঁর ‘বিচারের’ দাবিতে স্লোগানও তোলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) মুন্নিকে উদ্দেশ্য করে ‘দালাল’ বলতে শোনা গিয়েছে। এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে ‘꧟আপনি (বাংলাদেশকে) ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করছেন।’