গুজরাটের আমেদাবাদ পুলিশ ও ডাইরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্ট🐻েলিজেন্স শনিবার এক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের ওই ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভয়াবহ মাদক কারবার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
তবে ধৃত ব্য়ক্তির কেরিয়ার একেবারে চমকপ্রদ। আগে তিনি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। একাধিক বড় দরের লোককে তিনি মাদক সাপ্লাই করতেন। এমনকী বড় মাপের রেভ পার্টিতেও মাদক পাঠাতেন তিনি। মুম্বই সহ দেশের একাধিক বড় শহরে তিনি এই কারবার করতেন। মাদকের বিরাট চক্র চালাতেন ওꦉই মাফিয়া।
ধৃতের নাম জিতেশ হিনহোরিয়া। সে পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। যে ওষুধ তৈরির কারখানায় তিনি কাজ করতেন সেখান থেকেই তিনি ওষুধ তৈরির নানা দিক শিখতে শুরু করেন। আর সেই শিক্ষাক💮ে কাজে লাগিয়ে শুরু হয় মাদকের কারবার। ওপরে ওষুধ কারখানায় কাজ আর তলে তলে মাদকের কারবার। প্রায় দেড় বছর ধরে এটা চলছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ও ডিআরআই অভিযানে নামে। গুজরাট পুলিশের কাছে খবর এসেছিল সুরাটে মাদকের বড় ব্যবসা চালাচ্ছে এক ব্যক্তি। এরপর ছত্রপতি সম্ভজিনগর এলাকায় অভিযান শুরু হয়। এরপর ঔরঙ্গবাদের দুটি গোপন ডেরা থেকে বিরাট পরিমাণ রাসায়নিক পেয়েছে পুলিশ ও ডিআরআই। প্রায় ২৩,০০০ লিটার রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত🌃 করা হয়েছে। মূল🐻ত কেটামাইন, মেফিড্রোন ও কোকেন জাতীয় মাদক মেশানো ছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
প্রায় ২৩ কেজি কোকেন, ১৭ কেজি মেফ🐎িড্রোন, ৪.৩ কেজি কেটামাইন তৈরি করা হচ্ছিল। সেগুলি বাজারে সাপ্লাই করা হত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আগে এগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
যে উপাদানগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তಌার মূল্য সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। মূলত মুম্বই, ইন্দোর, দিল্লি, চেন্নাই, সুরাটে তিনি এই ভয়াবহ মাদক সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ। তবে এই চক্র༺ের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।