এসে গেল আরও ভোট-মরশুম। ২০২২ সালে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ক্রমেই তেতে উঠছে রাজনৈতিক জমি। এদিকে, তারই মাঝে ൲এন্ট্রি নিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এদিকে, ভোটের মরশুম শুরু হতেই বিভিন্ন সভা সমিতিতে দেখা যাচ্ছে নেতাদের। আর তারপরই খবর মিলছে তাঁদের কোভিড পজিটিভ হওয়ার।
প্রথমে আসা যাক দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিষয়ে। ২০২২ সালে পঞ্জাবের বুকে তাঁর পার্টি ⛎আপের ঝান্ডা মজবুত করতে তিনি এই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছেন। মঙ্গলবারই জানা যায় যে তিনি করোনা আক্রান্ত। তার আগে উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে পার্টির তরফে পর পর সভায় যোগ দেন এই রাজনীতিবিদ। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে তাঁর সভার পরই আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কোভিড পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েন। এদিকে, ওমিক্রন ত্রাসের মাঝে কার্যত ত্রস্ত দিল্লি। সেখানে বিজেপির অন্যতম নাম মনোজ তিওয়ারি। তিনিও বর্তমানে করোনা পজিটিভ। এই দুই নেতাকে ঘিরে উদ্বেগের মাঝেই কংগ্রেসের রণদীপ সুরেওয়ালা ও কোভিড পজিটিভ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনার আগে সোমবার তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলেন করেন। এরপর নিজের কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর জানান দিয়ে, তাঁর সঙ্গে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সাক্ষাতে আসা সকলকে তিনি টেস্ট করানোর বার্তা দেন। উদ্বেগের গ্রাফ এখানেই শেষ নয়। রাজ্যসভার সাংসদ দীপেন্দ্র হুদাও করোনা পজিটিভ। তিনি ও সুরজেওয়ালা দুজনেই উত্তরপ্রদেশের বুকে ভোট পর্বে গত বেশ কয়েকদিন সক্রিয় ছিলেন।ꦚ তারপরই নেতাদের এই করোনা ধরা পড়ার ঘটনা ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে ত্রাস। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে ইতমিধ্যেই ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে সমস্ত সভা সমিতি বাতিল করেছে কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে তিনি ও তাঁর স্ত্রী কোভিড পজিটিভ। নিজের টুইটে তিনি একথা জানানোর পাশাপাশি, মাস্কহীন মানুষজনকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ♏বাংলার প্রতিবেশী বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি সপরিবারে কোভিড পজিটিভ। এদিকে, মহারাষ্ট্রের নারী কল্যাণ মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর থেকে সেরাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে কোভিড পজিটিভ হিসাবে উঠে এসেছেন। উল্লেখ্য, যখন পর পর নেতাদের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ছে,তখন নেটপাড়ায় এই নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে নেতারা কি কোভিড প্রোটোকল মেনে চলছেন না? এরই মধ্যে নেট পাড়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল মাস্ক ছাড়া একটি সভায় কাশছেন (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। আর তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে।