আগামী অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ৬-৬.৫ শতাংশ হারে বাড়বে, বলে পূর্বাভাস অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন এই সমীক্ষা সংসদে পেশ করেছে সরকার। এতে বলা আছে যে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। চলতি বছরে জিডিপি ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে 🐬হিসাব কষেছে অর্থমন্ত্রক।
দুনিয়া জুড়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে যে ভাটা এসেছে, তার প্রভাব ভারতের ওপরেও পড়েছে বলে সমীক্ষায় জানান হয়েছে। এই বছর ল্যাভেন্ডার রংয়ে ছাপা হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষার কাগ🐓জ।
এই সমীক্ষায় নীতি নির্ধারকদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপ🐼দেষ্টা কে সুব্রমনিয়ম। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন যে এবারের সমীক্ষার থিম ধণসম্প꧃দ সৃষ্টি।
ব্যবসায়ীদের বেশি সম্ম🦂ান দেওয়া উচিত ও সবসময় সন্দেহের চোখে দেখা উচিত না বলে সওয়াল ইকনমিক সার্ভেতে। সরকারি হস্তক্ষেপ পেঁয়াজের দাম কমানোয় কাজ করছে ༺না, মনে করে সমীক্ষা। মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়ার ডাক দেওয়া যেতে পারে বলে সার্ভেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সুব্রমনিয়ম বলেন যে ২০১৭ সাল থেকে অর্থনীতিতে যে শ্লথ ভাবে দেখা দিয়েছে, সেটিতে গ্লোবাল ফ্যাক্টর একটা বড় কারণ। এছাড়াও ২০১৩ সালের পর বাজার থেকে ধার করার অর্থ কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ কমে গিয়েছে বলে জানান তিনি। ২০০৮-১২ সাল অবধি বাজার থেকে অনেক অর্থ যারা ধার করেছিলেন, তারা🍌 ২০১৩-১৭ অবধি সেভাবে বিনিয়োগ করেননি বলেও সুব্যমনিয়মের দাবি।
ব্যবসার ক্ষেত্রে যে লাল ফিতের সমস্যা সেটা মেটানোর ওপরে সমীক্ষায় জোর দিতে সওয়াল করা হয়েছে। এর ফলে রফতানি বাড়বে ও ব্যবসার বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কাজের গতি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির অপারেশন আরও ভালো করে চালাতে হবে বলে সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্যের বিষয় আরও স্বচ্ছ হলে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা যাবে বলে সমীকಞ্ষায় প্রকাশ। বাজার ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দশটি নয়া নিদানও দিয়েছে সমীক্ষা।