প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে ৫ কোটি নগদ, পাঁচটি বিদেশি বন্দুক এবং পাঁচ কেজি সোনা উদ্ধার করল ইডি। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার প্রাক্তন বিধায়ক তথা আইএনএলডি নেতা দিগলাগ সিংয়ের যমুনানগরের বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং এই সব অস্ত্র উদ্ধার করেছে ইডি। শুক্রবারই দিলবাগের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এদিকে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে ৩০৮ রাউন্ড তাজা গুলিও উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তাঁর বাড়ি থেকে ১৩৮ বোতল মদ উদ্ধার হয়েছে। পাঁচ কেজি ওজনের সোনার বিস্কুটও উদ্ধার হয়েছে অভিযান চলাকালীন। (আরও পড়ুন: শেখ শাহজাহানের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করꦯে বিস্ফোরক ইডি, আজ দিল্লি📖তে যাবে রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ৩ অফিসার, সন্দেশখ🔥🔜ালির সেই ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধেই FIR পুলিশের!
এদিকে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দিলবাগের বাড়ি থেকে দেশে এবং বিদেশে তাঁর বিভিন্ন বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য এবং নথি হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এদিকে যে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও মদের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ থানাকে জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। এই বিপুল পরিমাণ নগদ, সোনার উৎস খোঁজার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সঙ্গে এত অস্ত্র এবং মদের বোতল মজুত রাখার কারণও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।&n🔯bsp;
এদিকে শুক্রবার হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক সুরেন্দ্র পানওয়ারের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর বাড়িতে গত বৃহস্পতিবা👍র তল্লাশি অভিযান শুরু𓄧 করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়াও বিজেপি নেতা মনোজ ওয়াধওয়ার বাড়িতেও ইডি তল্লাশি অভিযান চালায়। তবে মনোজের বাড়ি থেকে ইডি কী উদ্ধার করেছে, তা স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়েছিলেন মনোজ। সেই সময় তিনি আইএনএলডি-র টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিধায়ক দিলবাগ, বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুরেন্দ্র এবং বিজেপি নেতা মনোজের বিরুদ্ধে বেআইনি খনি পরিচালনা সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তলা তদন্তের সূত্র ধরেই তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এই রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যুক্ত ২০টিরও বেশি জায়গায় ♌তল্লাশি চালায় ইডি। যমুনানগর ছাড়াও সোনিপত, মোহালি, চণ্ডীগড়, কার্নাল, ফরিদাবাদেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এর আগে হরিয়ানা পুলিশের কাছে বেআইনি খনি সংক্রান্ত একধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে ইডি তদন্ত শুরু করে এবং এই তিন রাজনৈতিক নেতার আযের থেকে বেশি সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরতে তল্লাশি চালায়। এদিকে ২০২০ সালে হরিয়ানা সরকার খনি এলাকায় কর ব্যবস্থাকে সরল করতে 'ই-রাবণ' স্কিম চালু করেছিল। সেই প্রকল্পেও জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই বিষয়েও তদন্ত করছে ইডি।