বাজারে সয়াবিন ও পামꦍ তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সেই নিয়ম কার্যকর হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আগে সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করা হত। এবার তা কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হচ্ছে।
এমনিতে গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে চাল, ডাল, চিন, ভোজ্য তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে। কোনও কোনও সামগ্রীর দাꦛম তো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র পাম তেলের দামই বেড়েছিল ৬৩ শতাংশ। 🧸সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেই ভ্যাট কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ সরকার। পরিশোধন ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং বিপণন ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ মিলিয়ে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট তুলে দেওয়া হয়। যদিও ব্যবসায়ীরা জানান, পরিশোধন এবং বিপণন ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলেও বাজারে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। দামের তেমন হেরফের হবে না। তাই আখেরে আমজনতার কোনও সুরাহা পাবেন না বলেও জানান তাঁরা।
সেই পরিস্থিতিতে ভোজ্য তেল আমদানির উপর থেকে শুল্ক কমানোর জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। তড়িঘড়ি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রক। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিদেশ থেকে ভোজ্য তেলের আনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করা হয়। সেটা কমানোর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একই কথা জানান বাণিজ্যমন𝕴্ত্রী টিপু মুনশি।
সেই নির্দেশের পর বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, আমদানিকৃত সয়াবিন ও পাম তেলের ক্ষেত্র🔜ে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে কিছুটা লাগাম টানবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে ব্যবসায়ী মহল। তবে শুধু ভোজ্য তেল নয়, রোজার আগে চিনি-সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্যাট কমানোর নির্দেশꦇ দেওয়া হয়েছে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বুধবার অবশ্য সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।