করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এমনিতেই শোচনীয় অবস্থা আমজনতার। তারইমধ্যে গত এক বছরে সরষের তেল, ডাল, আটা-সহ হেঁসেলের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমজনতার চোখে জল আনছে পেঁয়াজও। গত এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটের তথ্য (গত ২৫ জুন) তুলে ধরে 'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নাসিকে এক লিটার সরষের তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। মোরাদাবাদে লিটারপ্রতি পাম তেলের দাম ১৮০ টাকার উপরে চলে গিয়েছে। গ্যাংটকে এক লিটার সোয়া তেলের দাম ১৯৪ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুয়াযী গত এক বছরে শুধু ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। ডালের দর ১৫ শতাংশ বেড়েছে। খোলাবাজারে চায়ের দাম ২৫ শতাংশ এবং চালের দাম চার শতাংশ উত্থানের সাক্ষী থেকেছে। তবে গম, চিনি, টমেটোর দাম কমেছে বলে 'লাইভ হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।যদিও চলতি মাসের গোড়ার দিকে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, দেশে কমেছে ভোজ্য তেলের দাম। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘গত এক মাসে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে দাম পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত।’ সঙ্গে যোগ করা হয়েছে, ‘বিভিন্ন জটিল বিষয়ের উপর ভোজ্য তেলের দাম নির্ভর করে। তার মধ্যে আছে - আন্তর্জাতিক বাজারের দর এবং ঘরোয়া উৎপাদন। দেশে উৎপাদন এবং চাহিদার মধ্যে যেহেতু বড়সড় ফারাক আছে, তাই ভোজ্য তেলের একটা বড় অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।’ কয়েক সপ্তাহ পর ভোজ্য তেলের আমদানিতে কর হ্রাসের পথে হাঁটে কেন্দ্র। তাতেও অবশ্য পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। উলটে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোজ্য তেল-সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলে গেরস্থের হেঁশেলে আগুন লেগেছে।