দিনভর অপেক্ষা ছিল। কিন্তু বুধবার দেখা মিলল না চাঁদের। তার ফলে আজ (বৃহস্পতিবার) নয়, আগামিকাল (শুক্রবার) ভারতে পালিত হবে ইদ। তবে শুধুমাত্র কেরালার মানুষরা বৃহস্পতিবার🌞 ইদে মেতে উঠেছেন। কারণ বুধবারই সেখানে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে।
জামা মসজিদের শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি-সহ দিল্লির একাধিক মৌলবী জানিয়েছেন, বুধবার রাজধানীর কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আজও রোজা চলবে। শুক্রবার হবে শাওয়াল মাসের প্রথমদিন। সেদিনই ইদ-উল-ফিতর পালিত হবে। শুধু দিল্লি নয়, দেশের অন্যত্রও বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়নি। সেইমতো শুক্রবার ইদ 🍷পালনের ঘোষণা করা হয়েছে। একই ঘোষণা করেছে কলকাতার নাখোদা মসজিদ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অবশ্য এবারও ইদের আনন্দ কিছুটা ফিকে হতে চলেছে। রেড রোডে ইদের নমাজ বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও বাড়িতে বসেই ইদের নমাজ পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইমামরা। সেইসঙ্গে যে সমস্ত মসজিদে নমাজ পড়া হবে, সেখানেও যাবতীয় করোনা বিধি পালনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের বিধি বজায় রাখার জন্য নাখোদা মসজিদে একসঙ্গে নমাজ পড়া হবে না। বরং নমাজ পড়ার জন্🌃য দুটি সময় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদের মধ্যে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতেও হবে।
এমনিতে রমজান মাসের শেষে ইদ-উল-ফিতর পালিত হয়। ই✅সলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান হল নবম মাস। আর দশম শাওয়াল মাসের প্রথম দিন পালিত হয় ইসলাম সম্প্রদায়ের এই উৎসব। ইদ-উল-ফিতরের অর্থ উপবাস শেষ করার উৎসব। ইদের দিন বিশেষ নমাজের মাধ্যমে🧸 দিন শুরু করেন সকলে। আল্লাহকে ধন্যবাদ জানানোর দিন এই ইদ। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, আল্লাহের নির্দেশে রমজান মাসে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা রোজা পালন করেন। কোরান অনুযায়ী, ইদের নমাজের পূর্বে রোজাদারদের জাকাত-আল-ফিতরের নিয়ম পালন করতে হয়। জাকাত অর্থাৎ দান করা।