২০১৯ সালের ৫ অগস্ট থেকে পুরোপুরি বদলে গিয়েছে কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৫এ-ও বাতিল করা করা হয়েছে। রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে 𒆙আপাতত জম্মু ও কাশ্মীর হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখ আলাদা💛 হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা আসন পুনর্ঘটিত হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন এখনও হয়নি। কবে হবে, সেই বিষয়ে কোনও ধারণা নেই কারও। এই সবের মাঝেও অবশ্য নাশকতা জারি থেকেছে। তবে হয়ত আগের থেকে অনেকটাই কম হয়েছে জঙ্গি হামলা। তারণ সেনা, আধাসেনা মোতায়েন করে উপত্যকাকে দুর্গে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই আবহে এবার কাশ্মীর নিয়ে বড় মন্তব্য করে বসলেন ভারতের প্রাক্তন 'র' প্রধান অমরজিৎ সিং দৌলত।
দৌলতের কথায়, মোদী শরকারের বাহুবল ও সেনা মোায়েনের ফলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি 'ভারত-বোধ' হারিয়ে ফেলেছে কাশ্মীর। প্রাক্তন 'র' প্রধানের কথায়, কাশ্মীরের প্রয়োজন 'স্নেহের ছোঁয়া'। নিজের বই 'অ্যা লাইফ ইন𝓀 দ্য শ্যাডোস' নিয়ে এক আলোচনা সভায় দৌলত বলেন, 'শ্রীনগরের লালচকে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করে উপত্যকায় ভারতের ধারণা ফিরিয়ে এনেছেন রাহুল গান্ধী।' উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার সময় দৌলত রাহুল গান্ধীর পাশে হেঁটেছিলেন। যার জেরে বিজেপির তরফে তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকে যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বলপূর্বক তাড়ানো হচ্ছিল, সেই সময় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো-তে কাশ্মীর গ্রুপের প্রধান ছিলেন দৌলত। এহেন দৌলত কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরকারের মনোভাব নিয়ে নিজের 'অসন্তোষ'কে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'সরকারের বাহুবলী নীতি সফল হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ কমছে। তবে কাশ্মীর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ভারত-বোধ।' রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'লালচকে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করার পিছনে রাহুল গান্ধীর যে উদ্দেশ্যই থেকে থাকুক না কেন, বিগত বেশ কয়েক বছরে এই প্রথম কাশ্মীরে ভারত-বোধকে তুলে ধরা হল।' এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাঁর অনুযোগ, 'জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। তবে সেটা কবে করা হবে, তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট তারিখ বলা হচ্ছে না।' প্রাক্তন 'র' কর্তা জোর গলায় বলেন, 'আমি নরেন্দ্র মোদীকে আশ্বাস দিতে পারি যে জম্মু ও কাশ্🧸মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হলে তিনি শ্রীনগরে এসে কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই খোলা জিপে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।' তিনি বলেন, 'কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।' অবশ্য তিনি এও বলেন, 'কাশ্মীক ইস্যুর সমাধান সূত্র হয়ত কখনও বেরিয়ে আসবে না। তবে কাশ্মীরের স্নেহের স্পর্ষের প্রয়োজন রয়েছে এখন।'