করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম পর্যায় থেকেই স্যানিটাইজারের ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে অত্যধিক পরিমাণে স্যানিটাইজারের ব্যবহারও ডেকে আনতে পারে নানা সমস্যা। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে ত্বক ও শরীরে লঘু, মাঝারি-- নানা ক্ষতিই হতে পারে। এক্ষেত্রে সাবানের ব্যবহার অনেক বেশি নিরাপদ। এখানে জানুন, অত্যধিক স্যানিটাইজার ব্যবহারের ফলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে—অত্যধিক পরিমাণে স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে ডার্মাটাইটিস বা এগজিমা অর্থাৎ ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডার্মাটাইটিস বা এগজিমার কারণে ত্বক লাল, রুক্ষ হতে পারে, এমনকী ফাটলও দেখা দিতে পারে।ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে চিকিৎসক ক্রিস নরিসের মতে, স্যানিটাইজারে উপস্থিত এথিল অ্যালকোহল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে কিছু অ্যালকোহলবিহীন স্যানিটাইজারও পাওয়া যায়। এই স্যানিটাইজারে ট্রাইক্লোসন বা ট্রাইক্লোকার্বনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। একাধিক সমীক্ষায় প্রমাণিত যে, ট্রাইক্লোসন প্রজনন ক্ষমতায় বাজে প্রভাব ফেলে।আবার অ্যালকোহলবিহীন স্যানিটাইজারে উপস্থিত ট্রাইক্লোসন হরমোনজনিত সমস্যার জন্য দায়ী। এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে নানা সমস্যা তৈরি হবে।কিছু স্যানিটাইজারে আবার মেথনল নামক বিষাক্ত কেমিক্যালও থাকে, যার ফলে বমি, মাথা ঘোরা, অনিদ্রা, দৃষ্টিহীনতার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, স্নায়ুতন্ত্রকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।ট্রাইক্লোসন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতাকেও দুর্বল করে দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ায় ব্যক্তির অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।স্যানিটাইজারকে সুগন্ধযুক্ত করে তোলার জন্য এতে প্থালেটস ও প্যারোবেন্সের মতো বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। প্থালেটস অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির প্রক্রিয়াকে বাধিত করে, যার ফলে ব্যক্তির বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতা বাধার মুখের পড়ে। অন্যদিকে প্যারোবেন্স আমাদের হরমোন, প্রজনন ক্ষমতার উন্নতির জন্য ক্ষতিকর।স্যানিটাইজারকে অধিক উপযোগী করে তোলার জন্য এতে অ্যালকোহলের পরিমাণ অধিক রাখা হয়। কিন্তু এমন একাধিক উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে, যেখানে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ার কারণে কিশোর-কিশোরীরা প্রভাবিত হয়েছেন।