চিন-আমেরিকা দ্বৈরথ উসকে দিল নির্বাসিত তিব্বত সরকারের প্রধান ডক্টর লবসাং স্যাংগের হোয়াইট হাউস সফর। গত ছয় দশকে এই প্রথম তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের কোনও প্রশাসনিক প্রধান আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পা রাখলেন।গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত হন তিব্বতের নির্বাসিত সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর (সিটিএ) প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন আমেরিকার সদ্যনিয়োজিত স্পেশ্যাল কোঅর্ডিনেটর ফর টিবেটান ইস্যুস রবার্ট ডেসট্রো। এই সাক্ষাৎ কার্যত সিটিএ-র কূটনৈতিক বৈধতা এবং তার রাজনৈতিক প্রধানকে স্বীকৃতি দিল। এই সাক্ষাৎকে স্বাগত জানিয়েছে ধর্মশালায় সিটিএ-র প্রধান দফতর।১৯৫০ সালে চিন তিব্বত দখল করে, যে ঘটনাকে বেজিং বর্ণনা করে তিব্বতের ‘শান্তিপূর্ণ মুক্তি’ যা ওই ভূখণ্ডের ‘স্বৈরাচারী অতীত’কে ছুড়ে ফেলতে সাহায্য করেছে। কিন্তু তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মগুরু দলাই লামার নেত়ৃত্বে সমালোচকদের দাবি, তিব্বতের উপরে বেজিংয়ের আধিপত্য কার্যক্ষেত্রে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’র শামিল। গত ছয় দশক ধরে সিটিএ প্রধানকে প্রবেশাধিকার দেয়নি আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতর ও হোয়াইট হাউস। এর মূল কারণ হল, সিটিএ-কে বৈধ স্বীকৃতি দিতে নারাজ আমেরিকা। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় তিব্বতি নীতি ও সমর্থন আইন এবং তিব্বত সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়ে চিন সম্পর্কিত মার্কিন কংগ্রেসের একজিকিউটিভ কমিশনের চেয়ারম্যান জিম ম্যাকগভার্ন এবং সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির শীর্ষস্থানীয় সদস্যদের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সিটিএ প্রধান। সেই সব বৈঠকে সিটিএ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাসিত তিব্বতি প্রশাসনের দুই শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি নোদুপ শেরিং ও কেলস্যাং ডোলমা। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে মার্কতিন স্বরাষ্ট্র দফতর লবসাং স্যাংগেকে আমন্ত্রণ জানানোয় আপত্তি জানায় চিন। তিব্বতের সামগ্রিক উন্নয়ন ভুলে আমেরিকা যেন চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে না না গলায়, এমন হুঁশিয়ারিও দেয় বেজিং। গত অগস্ট মাসে জাতীয় ঐক্য সুরক্ষার স্বার্থে তিব্বতে নিষ্ছিদ্র দুর্গ গড়ার আবেদন জানান চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।