একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল বিমানবন্দর লাগোয়া চত্বর। সম্ভাব্য আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। তারইমধ্যে মার্কিন আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হামলা 'নিশ্চিতভাবে' চালিয়েছে আইএস। তালিবানের এক ‘যোদ্ধাকে’ উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আছে একাধিক শিশুও। আহত হয়েছে কয়েকজন তালিবান 'যোদ্ধাও'। এক মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে মার্কিন সেনার সদস্যরাও আছেন। হতাহতের সংখ্যা স্পষ্ট না হলেও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।তবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে আমেরিকার তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি টুইটারে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে একটি জটিল হামলার কারণে অ্যাবে গেটে (বিমানবন্দরের মূল গেট) বিস্ফোরণ হয়েছে। তার জেরে একাধিক মার্কিন নাগরিক এবং সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন। আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে ব্যারন হোটেলের কাছে বা ব্যারন হোটেলে কমপক্ষে আরও একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। যা অ্যাবে গেটের কাছেই।’ স্থানীয় সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের মূল গেট অ্যাবে গেটের সামনে বিস্ফোরণ হয়েছে। আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার জন্য যেখানে গত ১২ দিন ধরে হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। পাশাপাশি বিমানবন্দরের গেট লাগোয়া ব্যারন হোটেলের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা থাকছেন। দিনকয়েক ধরে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর আধিকারিকরা বলে আসছেন যে আগামী ৩১ অগস্টের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর তথ্য মিলেছে। ইসলামিক স্টেট খোরাসানের আফগান গোষ্ঠী সেই হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য মিলেছিল। তাতে তালিবানের যে মদত থাকবে, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন না গোয়েন্দারা।