ইদানীং ভারতে এক নতুন ত্রাসের আমদানꦫি হয়েছে। ﷺযাকে বলা হচ্ছে - 'ডিজিট্যাল অ্যারেস্ট' ডিজিট্যাল গ্রেফতারি।
এ হল এমন এক ধরনের জালিয়াতি, যার মাধ্༒যমে সাইবার অপরাধীরা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা বা অন্য কোনও সরকারি আধিকারিকের ভেক ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক বা একা𓄧ধিকবার ফোন করে।
তারপর তাঁদের নানারকম মিথ্যা কথা বলে দেখায়। তারা ভুক্তভোগীদের ভুল বুঝিয়েꦰ এমনভাবে তাঁদের ব্রেন ওয়াশ করে যে, এক সময় তাঁরা বাধ্য হয়েই ওই সাইবার অপরাধীদের 🐲কথা মতো তাঁর 'মোবাইল নম্বরের অপব্যবহার করা হচ্ছে' বলে 'অভিযোগ দায়ের' করতে বাধ্য হন!
এরপর দুষ্কৃতীরা বলে, ভুক্তভোগীকে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে এবং যদি 'তদন্তে' তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে ওই টাক🌠া ফജেরত দেওয়া হবে।
এবার এই ধরনেরই একটা ♒ঘটনার 'চিত্রনাট্য' প্রকাশ্যে আনলেন গুজরাতের এক বাসিন্দা। তিনি প্রায় এক ঘণ্টার একটি ভিডিয়ো তাঁꦜর এক্স অ্য়াকাউন্টে পোস্ট করেছেন।
সেই ভিডিয়োয় এক ভুয়ো পুলিশ কর্তাকে দেখা গিয়েছে এভাবেই কথার ফাঁদে ফেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করতে। সেই ভিডিয়োཧ ভ🔜াইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
কীভাবে এগোয় প্রতারণার ঘটনাক্রম?
প্রথমে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের মালিক সেই কল রিসিভ করার পর অপর প্রান্তের অজানা ব༒্যক্তি জানায়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে তাঁর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়া হবে।
কারণ, ওই মোবাইল নম্বর থেকে অন্যদের হেনস্থা করার এবং আর্থিক জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে ওই অচেনা ব্যক্তি নিজেকে হয় পুলিশে🦩র বড় কর্তা অথবা ট্রাই-এর কোনও আধিকারিক বলে পরিচয় দেবে।
এরপরই ওই সাইবার অপরাধী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বলবে, হয় তাঁকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোনও একটি থানায় পৌঁছতে হবে। অথবা, তিনি চাইলে হোয়াট্সঅ্যাপ ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তাঁর🅷 মোবাইল নম্♏বরের অপব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
এক্ষেত্র🌱ে দ্বিতীয় উপায়টিই সকলে অবলম্বন করেন। এর এটাই হল সবথে🉐কে ভয়ঙ্কর ফাঁদ।
এরপর ভুক্তভোগীর কা𓄧ছে আসবে একটি হোয়াট্সঅ্য়াপ ভিডিয়ো কল। তিনি দেখতে 🐼পাবেন সামনে একজন জাঁদরেল চেহারার 'পুলিশ অফিসার' বসে রয়েছে। যে আসলে ভুয়ো। এমনকী, সামনের মানুষটিকে বোকা বানানোর জন্য প্রতারকরা নকল থানার ব্যাকগ্রাউন্ডও তৈরি করে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এরপর ওই ব্যক্তিকে তাঁর মোবাইলের ব্যাক ক্যামেরাও চালু করতে বলা হবে। যাতে প্রতারক ফোনের ওপারে বসেই ভুক্তভোগীর চারপা✨শে নজর রাখতে পারে।
এরপর ওই ভুয়ো পুলিশ অনেক জ্ঞান দেবে। আধার কার্ড সামলে রাখতে বলবে, সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রꦰাইয়ের নামে ভুয়ো ♑চিঠি পর্যন্ত প্রিন্ট করে দেখাবে!
সেই চিঠি ভার্চুয়ালি ভুক্তভোগীকেও𝕴 পাঠানো হবে। সঙ্গে ভুয়ো আধারকার্ডের ছবিও থাকব✤ে। যদিও তাতে নামের বানান ভুল থাকতেই পারে।
এরপর শুরু হবে, আরও এক 🥀দফা অভিযোগ। ভিডিয়ো কল চলাকালীনই ওই পুলিশ সেজে থাকা ওই প্রতারক 'ওয়াকি-টকি'তে কারও সঙ্গে কথা বলার অভিনয় করবে।
এরপরই সেই প্রতারকের গলার স্বর পালটে যাবে। সে ভুক্তভোগীকে গ্রেফতার করার ভয় দেখাবে। এমনকী, সে বলবে ফোনের এপাশে থা🅘কা মানুষটি নাকি কোনও দাগি অপরাধীর সঙ্গে যুক্ত। 'পুলিশের' কাছে তার প্রমাণ রয়েছে।
এরপরই শুরু হবে ভুক্তভোগীর ব্যাঙ্কিং লেনদেন, ইউপিআই বা নেট ব্যাঙ্কিং সংক্র෴ান্ত প্রশ্ন। যা আদতে টাকা অদায় করার চিত্রনাট্যের অন্তিম ধাপ।
সবশেষে সে ভুক্তভোগীকে বলবে, ওই টাকা পুলিশের কাছেই জমা থাকবে। তদন্তের শেষে ভুক্তভোগী নির্দোষ প্রমাণিত🌊 হলে, সেই টাকা ফেরত পাবে।