শ্রুতি তোমার
দশ মাস আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক তরুণী। এরপর তাঁর ভাই ও বাবাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর তাদের কারাদন্ড হয়। কিন্তু এতদিনে ফিরে এসেছেন ওই তরুণী। তারপরই মধ্য়প্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার সেশন ও ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ওই দুজনকে জেল থেকে মুক্ত🌌ি দিয়েছেন। তাদের উপর থেকে খুনের অভিযোগও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তৎಞকালীন তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ছিন্দওয়াড়ার জোপনালা গ্রামে ফিরে এসেছেন ꦜওই তরুণী। কিন্তু ত༺িনি ফিরে আসার পরে দশ মাস সময় লাগল পুলিশের শুধু এটা প্রমাণ করতে যে ওই মহিলাই আসলে নিখোঁজ হওয়া মহিলা। গত মার্চ মাসে ওই মহিলা ফিরে এসেছেন গ্রামে। গত ২০১৪ সালের জুন মাসে কাঞ্চন উইক নামে ওই মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান।
এদিকে ফের তদন্ত করে দেখা যায় যে মহিলা ফিরে এসেছেন তিনিই হলেন কাঞ্চন। আমারওয়াগা অ্য়াডিশনাল সেশন বিচারপতি সন্দীপ কুমার পাতিল সোনু ও সানিকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন। এদিকে তৎকালীন এসডিওপি সন্তোষ দেহারিয়া এই তদন্ত চালিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর কাজে অত্যন্ত গাফিলতি করেছেন। অভিযুক্তদের অযৌক্তিকভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। এনিয়ে 𝓡আদালতের তরফে তীব্রভাবে ভর্ৎসনা করা হয়েছে তৎকালীন অফিসার সম্পর্কে।
আইনজীবী সুবোধ শ্রীবা🌳স্তব জানিয়েছেন, কোর্টের নির্দেশের পরে এবার প্রশ্ন উঠছে পুলিশ যে কঙ্কালটা উদ্ধার করেছিল সেটা কার। এই প্রশ্নের উত্তর তো এবার দিতে হবে।
এদিকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে ২০২১ সালে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে তারা বাবা ৫৪ বছর বয়সি সন্নু ও ভাই সানি এই খুনের পেছনে রয়েছে। ওই তরুণীর সঙ্গে কারোর সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই তাকে খুন করা হয়েছিল পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। সেই মতো পুলিশ একটি কঙ্কালও উদ্ধা🐻র করে। এমনকী পুলিশ দাবি করে অভিযুক্তরা নাকি খুনের ঘটনা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের মার্চ মাসে🍨 ফিরে এলেন সেই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, এক গ্রামবাসী তাকে জানিয়েছিলেন যে তার বাবা ও ভাইকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।