গত ১৭ জুন জলপাইগুড়ির রাঙাপানি স্টেশনের🐽 কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের।এই দুর্ঘটনার জন্য রেলের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা প্রথমে মালগাড়ি চালককে সিগন্যাল না মানার জন্য দায়ী করেছিলেন। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরে বিষয়টি আরও তদন্ত করে আধিকারিকরা জানতে পারেন যে চালকের গাফিলতি ছিল না। তদন্তে এই তথ্য উঠে আসতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল মৃত চালক অনিল কুমারের পরিবার।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘꦡটনায় গাফিলতির দায়ে ৩🧜 কর্মীকে সাসপেন্ড করল রেল
মালগাড়ির চালক অনিল কুমারের শোকাহত স্ত্রী রোশনি কুমার বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তদন্ত না করে আমার স্বামীকে দায়ী করা হয়েছিল। যা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে আমরা এটা জেনে আনন্দিত যে রেল যথাযথভাবে তদন্ত করেছে। তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে আ♎মার স্বামী দায়ী ছিলেন না। তাঁর আত্মা এবার শান্তি পাবে।’
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ি ধাক্কা মারার দু'ঘণ্টার মধ্যেই রেলের চেয়ারপার্সন জয়া ভার্মা সিনহা এবং রেলের অন্যান্য কর্মকর্তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মৃত মালগাড়ি চালক অনিল কুমার এবং সহ চালক। 🦩তবে সিসিআরএসের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, লাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থাকা সত্ত্বেও মালগাড়ির চালককে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কোনও সতর্কতা ছাড়াই সমস্ত সিগন্যাল পাশ করার জন্য একটি ভুল মেমো দেওয়া হয🅠়েছিল।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি ঘণ্টায় ৭৮ কিলোম﷽িটার গতিতে যাচ্ছিল। তবে সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দ♏েখতে পেয়ে মালগাড়ি চালক জরুরি ব্রেক কষেছিলেন। এরফলে ধাক্কা মারার সময় মালগাড়ির গতিবেগ নেমে আসে ঘণ্টায় ৪০ কিমিতে। অর্থাৎ গতি কমে অর্ধেক না হলে সেক্ষেত্রে আরও অনকে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
অনিলে🍒র প্রতিবেশীরা জানান, মালগাড়ির চালককে দোষী করার বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারেননি। কারণ অনিলবাবু কাজে আন্তরিকতার জন্য পরিচিত। দুর্ঘটনার জন্য এভাবে তাঁকে দায়ী করা অন্যায় হয়েছিল। তিনি নিজেকেও বাঁচাতে পারেননি। কাজল দাস নামে এক প্রতিবেশী জানান, ’আমরা স্বস্তি পেয়েছি যে সত্য বেরিয়ে এসেছে।’ ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃত চালকের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রেল। এছাড়াও পেনশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর সন্তানরা এখনও নাবালক। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর একজনকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।