কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য নতুন শর্ত আরোপ করলেন প্রতিবাদী কৃষক সংগঠনের নেতারা। প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে অথবা মন্ꦜত্রীদের নিয়ে গঠিত কমিটি নির্দিষ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚট করতে হবে এবং কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করতে হবে। রবিবার এই বার্তা দিয়েছে নিখিল ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি (AIKSCC)।
এ দিন কꦑেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনায় বসা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন বি💝ভিন্ন কৃষক সংগঠনের প্রায় ৩০ জন নেতা। এর আগে ২৮ নভেম্বর ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের পঞ্জাব শাখার সভাপতি দর্শন পাল সিং-সহ ৩১টি কৃষক সংগঠনের প্রধানকে চিঠি দিয়ে আলোচনার দিন এগিয়ে আনার অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।
AIKSCC জানিয়েছে, প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগ নেওয়া অনুচিত, কারণ বিষয়টি মন্ত্রকের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। দর্শন পাল সিংয়ের কথায়, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব আমরা খারিজ করে দিয়েছি। কৃষক ও🐓 কৃষি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক্তিয়া♈রে পড়ে না।’
উলটে স্বরাষ্ট্র সচিবের চিঠির জবাবে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার জন্য নয়া শর্ত আরোপ করেছেন প্রতিবাদী কৃষকদের প্রতিনিধিরা। AIKSCC-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক অভীক সাহা জানিয়েছেন, ‘দেশের সব সিদ্ধান্তই নেন প্রধানমন্ত্রী।🀅 যদিও গত আলোচনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু আমরা জানি না তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কি না। পরবর্তী সব আলোচনা♔র জন্য আমরা চাই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তর অনুমোদিত মন্ত্রিসভার কমিটি অথবা মন্ত্রীদের দলের সঙ্গে বসতে।’
কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরু💛দ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশ🌟ের কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান রবিবার চতুর্থ দিনে পড়ল।
এ দিন অভীক সাহা বলেন, ২০১৩ সালে অন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতি-বিরোধী প্রতিবাদ অবস্থানের সময় মধ্যস্থতা করার জন্য মন্ত্রিসভার প্যানেল গঠিন করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘ওই রকম ব্যবস্থাই আমরা চাইছি, কারণ কখনও আলোচনায় বসছেন খাদ্য ও কৃষি বিভাগের মন্ত্রীরা, আবার কখনও বৈঠক পরিচালনা করছে স্বরℱাষ্ট্র মন্ত্রক।’
কৃষকদের 𝐆সাম্প্রতিক অবস্থানের জেরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রতিবাদী কৃষকদের পরবর্তী দফার আলোচনা বিলম্বিত হতে পারে, যার জেরে সমস্যা সমাধানের পথ দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবꦍেক্ষকরা।
AIKSCC-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সমস্যার মোকাবিলায় গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাহায্য ছাড়া এগোনো উচিত সরকারের। সংসদের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি জটিল করে তুলেছে প্রশান এবং কৃষকরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে তার জবাব চাইছে൩। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জড়ানোর চেষ্টা সরকারের সদিচ্ছা প্রকা⭕শের বদলে হুমকি হিসেবেই দেখছেন কৃষকরা।’
গত সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইনের প্রত♍িবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন কৃষকরা। দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়া বিক্ষোভ মিছিলকে ব্যারিকেড তৈরি করে বাধা দিতে গেলে একাধিক জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিবাদীদের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হচ্ছে নিরাপত্তাবা♏হিনীকেও। গত শুক্রবার দিল্লিতে প্রবেশ করার পরে প্রতিবাদী কৃষকদের উত্তর দিল্লির বুরারিতে নিরংকারী সমাবেশ ময়দানে অবস্থান করার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সেই সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
ওসমানিয়া বিশ্ববি✨দ্যালয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জয় কুকরেতির মতে, ‘কৃষকরা চাইছেন, যে সব মন্ত্রীরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁদের যেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকে। এটাই মনে হচ্ছে সরকারের 🌺উদ্দেশে ওঁদের স্পষ্ট বার্তা।’
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে সারাদিন ব্যাপী আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নর🐷েন্দ্র সিং তোমার এবং রেল, খাদ্য ও গ্রাহক সংক্রান্ত মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তবে বৈঠকে কোনꦫও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি।