ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণের মতো ভয়াবহ অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জনস্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থ🎉মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বর্তমানে এই খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১% থেকে সামান্য বেশি।
জনস্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্থায়ী সংক্রামক রোগের আলাদা ব্লক তৈরির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র🐭ীয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে ব্লক স্তরে গড়া হবে সরকারি রোগ নির্ণায়ক গবেষণাগার। এমনকি গ্রামীণ স্তরেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে নজর রাখা যাবে গ্রামীণ জনস্বাস্থ্যের উপরেও।
রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক প্যাকেজের পঞ্চম তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের ব্যাখ্যা ঘোষণা করার সময় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এমনই সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য তৈরি থাকতে জনস্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত বিনিয়োগের স⛎িদ্ধান্ত﷽ নিয়েছে সরকার।’
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে একটি জনস্বাস্থ্য প্রাতিষ্ঠানিক মঞ্চ গড়ে তুলে গবেষণামূলক কাজে জোর দিতে বড়সড় ভূমিকা নিতে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। একই সঙ্গে ꧂জাতীয় স্🌸বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্লু প্রিন্ট তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাস রোধের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত ১৫,০০০ কোটি টাকার মোট তহবিল থেকে ইতিমধ♉্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৪,১১৩ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ ভাবে বরাদ্দ করেছে। অত্যাবশকীয় পণ্যের জন্য ৩,৭৫০ কোটি টাকা এবং টেস্টিং ল্যাব ও কিটের জন্য ৫৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া গিয়েচে।
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে স্বাস🅘💟্থ্যকর্মীদের জন্য মাথাপিছু ৫০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা করেছে সরকার।
জনস্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের স্বার্থে নজর দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থার উপরেও। জোর দেও🍷য়া হচ্ছে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে চিক্ৎসকের পরামর্শ দানের স্বার্থে সরকারের ই-সঞ্জীবনী টেলি-কসাল্টেশন পরিষেবায়। এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত অঞ্চল (হটস্পট) নির্ণয়, সংক্রমণের আশঙ্কা সংক্রান্ত তথ্য এবং সংক্রমিতদের জরুরি পরামর্শ দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সরকারি আরোগ্য সেতু অ্যাপ। প্রায় ১০ কোটি নাগরিক ইতিমধ্যে এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর।
স্বাস্থ্যকর্মীদে♍র নিরাপত্তায় ঘরোয়া স্তরে এন-৯৫ মাস্ক ও স্বাস্থ্য কিট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। প্রতিদিন ৩০০ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ কিট তৈরি হচ্ছে দেশে, জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, করো﷽না মোকাবিলায় সঠিক পথেই পদক্ষেপ করছে সর💜কার।