জীবনবিমা🔯 ও স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি তুলে মঙ্গলবার সংসদের মকরদ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এককাট্টা ইন্ডিয়া জোট শিবির। মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়েই দে🎉খানো হয় এই তুমুল বিক্ষোভ। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা–রাজ্যসভার দুই দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন–সহ অন্য সাংসদরা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়াররা। সেখানেই আওয়াজ ওঠে, ‘স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা থেকে জিএসটি তুলে দেওয়া হোক।’
এদিকে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে এই জিএসটি তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কেন্দไ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। সেই চিঠির প্রসঙ্গ এদিন তোলা হয় সংসদে। আর সেটাকে সামনে নিয়ে এসে বিরোধী ইন্ডিয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটির প্রসঙ্গ। আর তা নিয়ে বলতে গিয়ে বিরোধীদের কড়া ভাষায় বিঁধলেন তিনি। নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘কারও মাধ্যমে চি🐽ঠিটি জনসমক্ষে আসতেই, ২০০ জন সাংসদকে নিয়ে ওরা জিএসটি অপসারণের দাবিতে সংসদে প্রতিবাদ শুরু করে দিয়েছে।’
অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের এই লাগাতার চেপে ধরায় চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিষয়টি নিয়ে জবাব দিতে হয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলতে চাই। জিএসটি কার্যকর হওয়ার আগেও মেডিক্যাল ইনস্যুওরেন্সে কর ব্যবস্থা ছিল। মেডিক্যাল ইনস্যুওরেন্সে তখন প্রি–জিএসটি ট্যাক্স হিসাবে ছিল। এটা কিছু নতুন কোনও বিষয় নয়। সব রাজ্যেই এটা ছিল। আজ যাঁরা এখানে প্রতিবাদ করছেন, তাঁরা কি এই কর অপসারণের আগে নিজেদের রাজ্যে আলোচনা করেছিলেন? গত অর্থবর্ষে এই খাতে ৭৪ শতাংশ জিএসটি আদায় হয়েছে। আর রাজ্যগুলিকে সেই বাবদ ১২ হাজার ২৬৪ কোটি টা♏কা দেওয়া হয়েছে।’ এমন দাবি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কমিটিতে 🎉হাসিনার দಌালালরা যেন ঢুকতে না পারে’, কড়া বার্তা বিএনপি নেতার
এছাড়া মোদীর সরকারের মন্ত্রী গড়কড়ি কদিন আগে নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়ে এই ইস্যুতে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার অনুরোধ করেন। আরএসএসের সদর দফতর নাগপুর, সেখানকার জীবনবিমা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। তারপরই নির্মলাকে চিঠি দেন গডকড়ি। তবে এই জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে এককাট্টা হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যবিত্ত সমাজের উপরে বড় আঘাত৷’ আর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথায়, ‘জীবনদায়ী ওষুধ এবং জীবনবিমা–স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা এই দাবি নিয়েই আমরা সোচ্চার হয়ে♛ছি।’