অ্যালিস ইয়েসু , উৎপল পরাশর
সামনেই স্বাধীন𓆉তার ৭৫ বছর পূর্তি। তার আগে উত্তপ্ত ভারত-মায়ানমার সীমান্ত। নাগাল্যান্ডের নোকলাক জেলায় ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে অসম রাইফেলসের গুলির লড়াই। তবে 🐟এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগ💟াদ অসম রাইফেলসকে লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা গুলি চালায়। NSCN-K-YA এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পালটা গুলি চালায় অস🐟ম রাইফেলসের জওয়ানরা। তবে কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
২০১৫ সালে ওই সংগঠন যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল। তারপর থেকেই ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর সংগঠনের নেতা এসএস খাপলাং প্রতিবেশী মায়ানমারে শক্ত ঘাঁটি তৈরির উদ্যোগ নেন। ২০১৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।
এরপর থেকেই ওই গোষ্ঠী একাধিক শাখায় ভাগ হয়ে যায়। খাপলাংয়ের এক আত্মীয় ইয়াং আয়ুং একটা শাখার দায়িত্ব নিয়ে নেন। পরে এসএস খাপলাংয়ের অত্য়ন্ত বিশ্বস্ত জেনারেল নিকি সুমি NSCN(K) নামে অপর একটি গোষ্ঠী তৈরি করেন। তবে ওই গোষ্ঠী ভারত সরকারের সঙ্ಌগে চুক্তি মোতাবেক যুদ্ধবিরতি মেনে চলে। কিন্তু NSCN-K-YA এখনও পর্যন্ত ওই নিষিদ্ধের তালিকাতেই রয়েছে। তারাই এই গুলি চালনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে অরুণাচলের চাংলাং জেলাতেও দুটি নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী অসম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। ইন্দো মায়ানমার সীমান্তের কাছে এই সংঘর্ষ বাঁধে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ULFA-I, NSCN-KYA এই হামলার পেছনে থাকতে পারে। অসম তেজপুরের লেফটেনান্ট কর্নেল এএস ওয়ালিয়া পিআরও ডিফেন্স জানিয়েছেন, ইন্দো মায়ানমা🌠র সীমান্তে জঙ্গি গোষ্ঠী অসম রাইফেলসের উপর গুলি চালিয়েছে। একজন জেসিও হাতে আঘাত পেয়েছেন। গোটা এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।