ভেঙ্কটেশ বাবু
শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন মেয়র সম্পথ রাজ। অবশেষে এ ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ওই নেতাকে সোমবার গ্রেফতার করল সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইম্স–কে জানিয়েছেন, ‘অবশেষে সম্পথ রাজের সহযোগী রিয়াজউদ্দিনের দেওয়া সূত্র ধরেই আমরা তাকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে করে এই ঘটনার ব্যাপারে ব🍨িশদ জানানো হবে।’
১১ আগস্ট তাদের নবীর অবমাননার জন্য ক্ষুব্ধ জনতা কংগ্রেস বিধায়ক আখন্ড শ্রীনিবাস মুর্তির বাড়ি ছাড়াও ৬০টিরও বেশি গাড়ি এবং ডিজে হল্লি ও কেজি হল্লি থানা পুড়িয়ে দেয়। এদিকে, পাল্টা পুলিশের গুলিতে ৩ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এই হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত ৩৭৭ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক চার্জশিটে পুলিশ জানি🌳য়েছে, দাঙ্গার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দলীয় বিরোধ।
দাঙ্গার মূল উস্কানিদাতা হিসেবে চার্জশিটে সম্পথ রাজ ছাড়াও কংগ্রেসের আর এক নেতা আবদুল জাকিরের নাম উল্লেখ করে পুলিশ। এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দাবি করেন সম্পথ রাজ। পরে পুলিশ তাঁকে তাদের হেফাজতে নিতে হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সম্পথ। তাঁকে পালা𓃲তে এবং বিমান ধরে অন্যত্র চলে যেতে সা♓হায্য করেছিল তাঁর সহযোগী রিয়াজউদ্দিন। সোমবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
১৩ নভেম্বর সম্পথ রাজের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কর্ণাটক হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ওই শীর্ষ কংগ্র🍌েস নেতাকে আইন মেনে নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য আবেদন করেছিলেন। অবশেষে এতদিন টালবাহানার পর তাঁকে গ্রেফতার করতে পারল পুলিশ।