জিয়া হক
লৌহ সমৃদ্ধ উন্নত মানের চাল ভর্তুকির মাধ্যমে বাসিন্দাদের মধ্যে পাঠানোর পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই চাল বাস্তবে উপকারের তুলনায় অপকার বেশি করতে পারে আদিবাসীদের। মূলত অ্যানিমিয়া ও থ্যালাসেমিয়ার পাশাপাশি জিনগত নানা রোগ থেকে বাঁচানোর জন্য এই ধরনের চাল বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ফ্যাক্টফাইন্ডিং এনজিও অবশ্য অন্য কথা বলছ𝐆ে।
এদিকে গত ৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল সরকারি স্কিমের মাধ্যমে আয়রন সমৃদ্ধ বলবর্ধক চাল বন্টন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত অপুষ্টিজনিত সমস্যা ಞথেকে বাঁচানোর জন্য এই পরিকল্পনা নꦜেওয়া হয়েছে। এদিকে ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে ২০১৯-২১ অনুসারে দেশ💯ের বিভিন্ন প্রান্তে বাসিন্দাদের মধ্যে লৌহের ঘাটতি ও অ্যানিমিয়ার প্রবণতার বিষয়টি সামনে আসে।
এবার দেখা যাক ফর্টিফায়েড রাইস কী? ধান থেকে চাল তৈরির সময় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বাদ চলে যেতে পারে চালের থেকে। 🐼বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেই ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ ফেরানো হয় চালে। এই পদ্ধতিকে ‘ফর্টিফিকেশন’ বলা হয়। ‘ফর্টিফায়েড রাইস’-এর ভাতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে। আলাদা করে তাতে আয়োডিন, ভিটামিন বি-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন যোগဣ করা হয়।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, যাঁদের এই ধরণের রক্তের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য ফর্টিফায়েড চাল খাওয়ানো কোনও সমাধান নয়।এই ধরনের Iron fortified rice খাওয়ার আগে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া দরকার। অ্যানিমিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই ধরনের চাল খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের অন্যতম সদস্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বন্দনা প্রসাদ এব্যাপারে মতামত দিয়েছেন। এদিকে এনিয়ে খাদ্যমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল ༺হিন্দুস্তান টাইসম। কিন্তু সেখান থেকে কোনও উত্তর♈ মেলেনি।
এཧদিকে কিছু গবেষণায় 🐎অবশ্য দেখা যাচ্ছে এই ধরনের ঘাটতি মেটাতে বায়ো ফর্টিফায়েড খাবার কাজে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুষম আহারই অপুষ্টি দূর করার বড় সমাধানের পথ।