রাফাল চুক্তি নিয়ে বিতর্ক যেন মিটেও মিটছে না। গত লোকসভা ভোটে রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে এই নি🎀য়ে বাজার গরম করেছিল বিরোধীরা। তাতে অবশ্য ইভিএমে তেমন প্রভাব পড়েনি। সুপ্রিম কোর্টেও গিয়ে নিরাশ হয়ে ফেরে তারা। কিন্তু ফের ফরাসি পোর্টাল মিডিয়াপার্ট এই সংক্রান্ত নতুন তথ্য সামনে এনেছে। এতে দুর্নীতির প্রমাণ আছে বলে দাবি এই সংস্থার।
রবিবার বেশ কিছু তথাকথিত ভুয়ো রসিদ প্রকাশ করেছে মিডিয়াপার্ট। 💃তাদের দাবি দালালদের ৭.৫ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দিয়ে ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হাত করেছিলেন ফরাসি সংস্থা ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন। মোট ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি করেছে ভারত। মিডিয়া সংস্থার দাবি, তথ্যপ্রমাণ দেখা সত্ত্বেও ভারতীয় তদন্তকারীরা এই নিয়ে এগোয়নি। তাদের দাবি সিবিআই, ইডি এই কথা অক্ꦯটোবর ২০১৮ সাল থেকেই জানে যে ঘুষ পেয়েছিলেন সুষেণ গুপ্ত। কিন্তু তারা এই নিয়ে হাত গুটিয়ে ছিল।
এর আগে এপ্রিল মাসে মিডিয়া সংস্থাটি বলেছিল যে সুষেণ গুপ্তকে কোটি কোটি টাকা গুপ্ত কমিশন দিয়েছে ড্যাসল্ট ও তাদের সহযোগী থেলস। ২০০৪-১৩-র মধ্যে এই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে অ𓃲ভিযোগ। সিঙ্গাপুরে ইন্টারডেভ বলে একটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা হস্তান্তর হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও ৫০টি রাফালের রেপ্লিকা মডেল বানানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল গুপ্তকে, যদিও বাস্তবে সেট♏ি নির্মাণ হয়েছিল তার কোনও প্রমাণ দেয়নি ড্যাসল্ট।
মোদী জমানার প্রথম পাঁচ বছরে রাফাল নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি ভারত অনেক বেশি টাকা দিচ্ছে এই ফাইটার জেটের জন্য। তারা অনেক কমে এই চুক্তি করে ফেলেছিল বলে দাবি কংগ্রেসের। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, কংগ্রেস কখনোই এই চুক্তি সংক্রান্ত পাকা কথা বলেনি। তাই তারা কী টাকায় চুক্তি করতে চেয়েছিল, সেই নিয়ে কথা বলে কি লাভ। বাস্তবেই কংগ্রেস আমলে এই চুক্তি হয়নি। পরে এই চুক্তি সই হয় ও ধীরে ধীরে করে ভারতে ফ্রান্স থেকে রাফাল আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ও ক্যাগ সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছে। তবুও রাফালের কাঁটা পুরোপুরি ওপড়াতে পারেনি সর﷽কার।