পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের বন্দুত্বের দাম দিতে কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত জি২০ বৈঠকে সম্ভবত অংশ নেবে না চিন এবং তুরস্ক। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে পর্যটন সংক্রান্ত একটি ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জি২০ সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে উপত্যকায় পা দেবেন। আগামী সপ্তাহে শ্রীনগরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে চিন এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা হয়ত সে𒐪ই বৈঠকে যোগ দেবেন না। এদিকে জানা গিয়েছে, অনেক দেশই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদಞের পাঠাবে না এই বৈঠকে। এদিকে ইন্দোনেশিয়া এই বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্টের পর এটাই আন্তর্জাতিক স্তরের সবথেকে বড় সম্মেলন হতে চলেছে কাশ্মীরে। আগামী ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেনশনাল সেন্টারে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তবে ডাল হ্রদের তীরে অবস্থিত এই কেন্দ্রে জি২০-র বৈঠক করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। কয়েকদিন আগে গোয়ার মাটিতে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গনাইজেশনের বৈঠকে যো෴গ দিতে এসে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছিলেন, 'কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক করার জবাব সময় মতো ভারতকে দেওয়া হবে।' এই আবহে পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ দেশগুলি শ্রীনগরের বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে নারাজ।
এদিকে পাকিস্তানের আপত্তি এবং তুরস্ক-চিনের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ভারত সরকার অনড়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়🐽েছে, দেশের সকল রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেই জি২০-র বৈঠক করা হচ্ছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সেখানেও জি২০-র বৈঠক হবে। এর আগে অরুণাচলপ্রদেশে অনুষ্ঠিত জি২০ বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল চিন। কারণ অরুণাচলকে চিন নিজেদের দ♑েশের অংশ হিসেবে দাবি করে। তাদের দাবি, অরুণাচল আদতে দক্ষিণ তিব্বত। এহেন দখলদারি মানসিকতার চিন কাশ্মীরের ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে, সেটাই স্বাভাবিক। এদিকে বিগত বছরগুলিতে তুরস্কের ইসলামি কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সমালোচনা করে এসেছেন। এদিকে চিন, তুরস্ক প্রতিনিধি না পাঠালেও 'অর্গনাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজে'র সবথেকে প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব কাশ্মীরে তাদের প্রতিনিধি পাঠাবে। তবে সৌদি থেকে হয়ত কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হবে না। বরং দিল্লিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এই বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।