জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির যৌথ বিবৃতি নিয়েজটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে সম্মিলিত অবস্থান খুঁদে পাচ্ছিল না দেশগুলি। এই আবহে ভারতের দেখানো পথেই যৌথ বিবৃতি পেশ করা হল এই শক্তিশালী গোষ্ঠীর তরফে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর‘যুদ্ধের সময় নꦉয়’ মন্ত্রেই পেশ করা হয় ২০ দেশের যৌথ বিবৃতি। উল্লেখ্য, রাশিয়াও এই গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য।
বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রাসাংবাদিকদের এই বিষয়ে বলেন,‘রাশিয়াꩵর হামলার নিন্দা জানাতে শব্দের চয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। এর আগে সেপ্টেম্বরে পুতিনকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী༒ বলেছিলেন যে‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রতিধ্বনি রয়েছে জি২০-র যৌথ বিবৃতিতে। এর ফলে ঐকমত্য অর্জন করতে বড় ভূমিকা পালন করে ভারত।’
এর আগেরবিবার ও সোমবার যৌথ বিবৃতি নিয়ে ২০ টি সদস্য দেশের প্রধানদের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি বা শেরপাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল⭕। রবিবার মধ্যরাতের পরও এই সংক্রান্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। জানা যায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে জি২০-র খসড়া যৌথ বিবৃতির প্রেক্ষিতে মতপার্থক্য তৈরি হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে খসড়া যৌথ বিবৃতিতে যে কড়া শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে,তা রেখে দেওয়ার চেষ্টা করে আমেরিকা এবং পশ্চিমী দেশগুলি। কিন্তু তাতে বাধ সাধে চিন এবং রাশিয়া। এই আবহে যৌথ বিবৃতি যাতে জারি করা হয়,সেজন্য পশ্চিমী দেশগুলিকে ভাষা কিছুটা নরম করার আর্জি জানায় ইন্দোনেশিয়া। পরে শেরপা অমিতাভ♔ কন্তের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের পরামর্শে মোদীর মন্ত্রে যৌথ বিবৃতির খসড়া তৈরি করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে সম্মেলনের প্রথমদিনই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বার্তা দেন জি২০-র মঞ্চে। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে মোদীর বার্তা,ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে যুদ্ধবিরতি এবং কূটনীতির পথ খুঁজে বের করতে হবে সবাইকে। মোদী বলেছিলেন, ‘আমি বারবার বলেছি যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ও কূটনীতির পথে ফেরার পথ খুঁজতে হবে। গত শতাব্দীতে,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বি🌸শ্বের সর্বনাশ হয়েছিল। এরপর ওই সময়ের নেতারা শান্তির পথে চলার প্রাণপণ চেষ্টা চালান। এবার আমাদের পালা। কোভিড-পরবর্তী সময়ের জন্য একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।’