কাজে কেন বিলম্ব ঘটছে, এই নিয়ে আমলাদের তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। National Highway Authority of India (NHAI) এর কর্তাদের তিনি তিরস্কার করেন কাজে বিলম্ব করার জন্য। সামগ্রিক ভাবেই ভারতীয় আমলাতন্ত্রে♓ যে সমস্যাগুলি সেটিও তুলে ধরেন মোদী সর🌃কারের অন্যতম বর্ষীয়ান এই মন্ত্রী।
NHAI-এর নয়া অফিসের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সময়ই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গডকড়ি। তিনি বলেন যে সাধারণত সবাইকে বাহবা দেওয়া হয় কোনও কাজ সম্পন্ন হলে কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেটি দেওয়া সম্ভব না। ২০০৮-এ এই বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, ২০১১-এ টেন্ডার পাশ হয় ও অবশেষে ২০২০ তে ২০০-২৫০ কোটি টাকার কাজ শ✅েষ হল দুটি সরকার ও আটখানি চেয়ারম্যানের পর। পরিহাস করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন যে যাদের জন্য নয় বছর লাগল, সে🐼ই অফিসারদের ছবি অবশ্যই অফিসের বাইরে লাগানো উচিত। এতদিন কিভাবে লাগল, ভেবেই লজ্জা লাগছে, বলে জানান গডকড়ি।
জিএম ও সিজিএমরা কতটাই অকর্মণ্য সেটি এই বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। NHAI-এর সংস্কারের প্রয়োজন 💝আছে ও হায়ারিং প্রক্রিয়াতেি গলদ আছে বলে তিনি মনে করেন। যারা আইআইটির থেকে পাশ করছে, এমন প্রতিভারা এখানে বেশিদিন কাজ করছে না। অন্যদিকে যাদের কোনও ট্যালেন্ট নেই, তারা ঘষে ঘষে চিফ জেনারেল ম্যানেজার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন নীতিন গডকড়ি।
সরকারি এই সংস্থার কর্তারা মন্ত্রকের পরামর্শ নেন না ও সেই কারণে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্𓂃ত্রী। কিন্তু এই জিনিস যে তিনি মেনে নেবেন না, সেটিও সাফ করেন তিনি।
তিনি বলেন যে আপাতত গাধඣা ও ঘোড়ার এক দর যাচ্ছে কিন্তু কারা কাজ করছে না, অপদার্থ সেটি চিহ্নিত করে তাদের অন্য দফতরে পাঠাতে হবে। কোনও ভাবেই অপদার্থদের রাখা যাবে না বলে সাফ জানান তিনি।
কর্মসংস্কৃতির বদলের জন্য এই অনুষ্ঠানে বার্তা দেন তিনি। নেচিবাচক মানসিকতার লোকজন যারা কমিটি বানিয়ে কাজের গতি রুদ্ধ করে দেয়, তাদের এবার ব𓂃িদায় করার প্রয়োজন এসেছে বলে তিনি জানান। মন্ত্রী বারবার বলার পরেও যদি কাজ না হয়, তাহলে তাদের নিকাল কে বাহার ফ🧔েকো, এরকম চাঁছাছোলা ভাষায় নিজের বার্তা দেন নীতিন গডকড়ি।