বাংলাদেশেও বিদ্যুত্ বিক্রি করবে আদানি গোষ্ঠী। আগামী ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস নাগাদ কার্যকর হবে ট্রান্সমিশন লাইন। ঝাড়খণ্ডে ১,৬০০ মেগাওয়াটের গোড্ডা বিদ্যুত্ প্রকল্প চালু করতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। সেখান থেকেই হবে সরবরাহ। সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি। 🅷এ বিষয়ে 𝐆নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইটও করেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় তৈরি হচ্ছে এই বিদ্যুতকেন্দ্র। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ তার একটি ইউনিট শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২৫ বছর গোড্ডা বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ🌃্যুত্ কিনবে বাংলাদেশের বিদ্যুত🦋্ উন্নয়ন বোর্ড(PDB)। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বꦗছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ৭৪৮ মেগাওয়াট এবং তার পরের বছর আরও ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহের পরিকল্পনা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুত্ সরবরাহের লাইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও উপকেন্দ্র তৈরির কাজ বাকি আছে। তবে, আপাতত অস্থায়ী উপকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। রোহনপুর সীমান্ত এলাকা থেকে লাইন টানা হয়েছে বগুড়া পর্যন্ত। উপকেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। তার বরাত পেয়েছে চিনের ঠিকা সংস্থা সাংহাই ইলেকট্রিক কোম্পানি। অবশ্য আরও আগেই এই কাজ এগিয়ে যেত। মাঝে মহামারীর সময়ে কিছুটা কাজ পিছিয়ে যায়। তবে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, আগামী অক্টোব♑রের মধ্যেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এসে যাওয়ার কথা। তারপর ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ১৮ অগস্ট বাংলাদেশ তাদের প্রাথমিক উপকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত্ সরবরাহ শুরু করেছে। ভারতে উপকেন্দ্র তৈরি শেষ হলে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হবে। প্রথমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ পাঠানো হবে। ধীরে ধীরে সক্ষমতা বাড়িয়ে সংযোগের সক্ষমতা যাচাই ক♛রা হবে। এরপরে ছাড়পত্র পেলে তবেই বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা শুরু হবে।