পর পর দুই দিন পতনের পরে বৃহস্পতিবার দেশে সোনার বাজারে উত্থান দেখা দিল। একই চলন দেখা গিয়েছে আন্তর্জাতিক সোনা বাজারেও।এ দিন এমসিএক্স সূচকে জুন গোল্ডের দরের হিসেবে ০.৩% ওঠার জেরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে দাঁড়িয়েছে ৪৫,৫২২ টাকা। বুধবার সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৪২৬ টাকা কমেছিল।পাশাপাশি, এমসিএক্স সূতকে এ দিন রুপোর দর ০.৩২% বৃদ্ধির জেরে প্রতি কেজি রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৪১,৯৭৮ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে আগের দিনের বড়সড় পতনের পরে এ দিন সোনার দাম কিছু বেড়েছে। স্পট গোল্ড সূচকে সোনার দাম ০.৩% বৃদ্ধির জেরে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৬৯০.১৯ ডলার। বুধবার সোনার দামে ১% পতন ঘটে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ডলারের মজবুত দর সোনার দামে প্রভাব ফেলেছে। এ দিন অন্যান্য অগ্রণী মুদ্রার তুলনায় মার্কিন ডলার গত এক সপ্তাহের হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি বুলিয়ন উৎপাদন সংস্থা চালু হওয়ার দরুণ সোনার জোগানে গতি এসেছে বলে জানা গিয়েছে।এ দিন আন্তর্জাতিকজ বাজারে রুপোর দামেও ০.৩% উত্থান দেখা গিয়েচে। যার ফলে এ দিন প্রতি আউন্স রুপোর আন্তর্জাতিক দাম যাচ্ছে ১৪.৯৬ ডলার।আপাতত আমেরিকা-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের গতিবিধির উপরে নজর রাখছেন সোনায় বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে বেজিংয়ের ুপরে ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ঘোষণায় আন্তর্জাতিক স্তরে সোনার দামে প্রভাব পড়তে চলেছে বলেই মনে করছে বাজার বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বিশ্বের প্রধান ব্যাঙ্কগুলি করোনা সংক্রমণের জেরে দুনিয়াজোড়া আর্থিক শ্লথগতি ঠেকাতে বাজার চাঙ্গা করার যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আপৎকালীন পরিস্থিতির রীতি মেনেই সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর তার থেকেই ফায়দা তোলার চেষ্টায় রয়েছেন সোনায় লগ্নিকারীরা।