বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে শেষ সপ্তাহে ভারতীয় বাজারে বাড়ল সোনার দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ০.৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৩৫০ টাকা। অথꦕচ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হলুদ ধাতুর দাম ৪৪,০০০ টাকার স্তরে পৌঁছে দিয়েছিল। তারপর থেকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৩,০০০ টাকা বেড়েছে।
এমনিতে গত বছর অগস্টে রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল ১০ গ্রাম সোনা। তারপর থেকে কমেছে হলুদ ধাতুর দর। চলতি মাসের শুরুতে তো সোনার দাম প্রায় এক বছরের সর্বনিম্🗹ন স্তরে (১০ গ্রামের দাম ৪৪,১০০ টাকা) পৌঁছে গিয়েছিল। সেই নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৩,০০০ টাকা বেড়েছে। তার ফলে রেকর্ড দরের তুলনায় এখনও ৯,৫০০ টাকা কম আছে সোনার দর।
সোনার দর বেড়েছে বিশ্ব বাজারে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৭৮.০৪ ডলার। যা সাত সপ্তাহে সর্বাধিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ম𒀰ার্কিন খুচরো বাজার এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যানের মধ্যেও মুদ্রাস্ফীত🐭ি ঘিরে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার জেরে বেড়েছে হলুদ ধাতুর দর। তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের সবথেকে বেশি সোনা আমদানিকারী চিন ইতিমধ্যে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ককে দেশের মধ্যে বেশি পরিমাণে হলুদ আনার ছাড়পত্র দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, পরবর্তী ওয়েভ, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কার ফলে সোনার দাম বেড়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে যে আশা তৈরি হয়েছিল, লাগাতার করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে আবারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সোনার দাম বৃদ্ধꦏি পাবে। লগ্নিকারী উপদেষ্টা সংস্থা মিলউড কেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিশ ভাট জানিয়েছেন, বিশ্বের অর্থনীতি কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়ালে সোনার দাম হ্রাস পাবে। কিন্তু সেকেন্ড ওয়েভের আশঙ্কায় আপাতত দাম বাড়ছে।