সপ্তাহশেষে সোনার বাজারদর বেশ দুর্বল হয়েই থামল। শুক্রবার দিনের শেষে এমসিএক্স সূচকে অক্টোবর গোল্ড ফিউচার্স-এ ০.৩% পতনের ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়াল ৫২,০০১ টাকা। একই সঙ্গে রুপোও সূচকে ১% পতনের জেরে প্রতি কেজিতে দাম দাঁড়ায় ৬৬,৯৫৪ টাকা। এককথায়, অগস্ট মাসের গোড়ার দরের হিসেবে প্রতি ১০ গ্রামে সোনা প্রায় ৪,০০০ টাকা কমেছে। পরিস্থিতি বিচার করে এমকে গ্লেবাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস সংস্থার গবেষণা বিভাগের প্রধান রাহুল গুপ্তার ব্যাখ্যা, ‘এই সপ্তাহে মোটের উপর সোনার দাম কিছুটা নেমেছে, কিন্তু প্রধান মৌলিক চরিত্রে বিশেষ হেরফের ঘটেনি বলে এখনও বড় পরিসরে সমান তেজিয়ান রয়েছে সোনা। এখনও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে মার্কিন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষিত হয়নি, তাই বলা যাচ্ছে না বিশ্ববাজারের এই প্রাণহীনতা কতকাল স্থানী হবে। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ৫০,০০০ টাকার কাছাকাছি দামে পতন ঘটলে বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া যায়।’আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের ঘুরে দাঁড়ানোয় এবং আমেরিকার বাণিজ্যিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নয়নের ইঙ্গিত দেওয়ায় চলতি সপ্তাহে সোনায় বিনিয়োগের উপরে প্রভাব ফেলেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারের দীর্ঘমেয়াদী উত্থানের প্রবণতা এখনও অটুট রয়েছে। শুক্রবার দিনশেষে স্পট গোল্ড সূচকে প্রতি আউন্সে প্রায় ১,৯৪২ ডলাক পড়েছে সোনার দাম। সপ্তাহের গোড়ায় প্রতি আউন্সে ২,০০০ ডলার মাইলফলক ছোঁয়ার পরে সোনার দরে এই পতন লগ্নিকারীদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। তবে এর পিছনে মার্কিন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণায় বিলম্ব, ডলারের চাঙ্গা দাম এবং রিয়েল এস্টেট বাজারে স্বস্তির হাওয়া অনেকটাই কাজ করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। সোনা ব্যবসায়ীদের নজরে রয়েছে ট্রাম্প সরকারের করোনাভাইরাস রিলিফ বিল। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ওই বিলে উল্লিখিত স্বল্প পরিমাণ অনুদানের বিরোধিতা করায় বিষয়টির গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে যার প্রভাব পড়েছে সোনার দামেও।