ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।♎ তার জেরে বাজারেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একাংশের প্রশ্ন, করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির ফলে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তার জেরে সর্বকালীন রেকর্𒈔ড গড়বে না তো সোনা?
‘হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের ‘লাইভ মিন্টে’ মোতিলাল ওসওয়ালের কমোডিটি রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অমিত সাজেজা বলেন, ‘ওমিক্রন ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ আছে। তবে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ওমিক্রন ঘিরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি꧋ হয়েছে, তার জেরে আগামী তিন-চার সপ্ত൲াহে বিশ্ব বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১,৮৩০ ডলারের দিকে যেতে পারে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের নীতির জেরে অবিলম্বে দাম বৃদ্ধি হয়ত হবে না। তবে পরবর্তী দুই থেকে তিন মাসে স্পট বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১,৯১৫ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে।
মোতিলাল ওসওয়ালের কমোডিটি রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্টের মতে, চলতি মাসের শেষের দিকে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,৮০০ টাকা থেকে ৪৯,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। গ𓄧ত শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় যে দামটা ছিল ৪৭,৯২৫ টাকা। সেদিন ৫২৪ টাকা বা ১.১১ শতাংশ বেড়েছিল ১০ গ্রাম সোনার দাম। যা রেকর্ড দরেরꦬ থেকে ৮,০০০ টাকার মতো কম। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম ঠেকেছিল ৫৬,১৯১ টাকায়। যা ভারতীয় বাজারে রেকর্ড।
বিষয়টি নিয়ে ‘লাইভ মিন্টে’ শেয়ার ইন্ডিয়ার রিসার্চের প্রধান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট রবি কুমার জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তার জেরে সোনার দামে হেরফের হচ্ছে। ওমিক্রনের ভয়াবহতা বুঝতে লগ্নিকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দিকে তাকিয়ে আছেন। আপাতত স্বল্পকালীন সময় ১০ গ্রাম সোনা ৪৭,🐬০০০ টাকা থেকে ৪৬,৮০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। যদি ওমিক্রনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্টেনর অভিষেক চৌহানের মতে, আগামী কয়েক মাসে ৫২,০০০ টাকার স্তর ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে রেকর্ড তৈরি হবে কিনা, তা নির্ভর করবে আগামী মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণের উপর।