পরপর দু'দিন ✃ভারতীয় বাজারে কমল সোনার দাম। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৬০০ টাকা। মহালয়া তথা দেবীপক্ষের সূচꦚনার দিন কমেছে রুপোর দামও। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৬০,৬২৩ টাকা।
বিশ্ব বাজারেও কমেছে সোনার দাম। শক্তিশালী মার্কিন ডলারের প্রভাবে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.৩ ꦅশতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৫৫.০৫ ডলার। আজ মার্কিন ডলার সূচকে এতটাই উপরে আছে, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ স্তরের কাছে ঘোরাফেরা করছে। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার চাহিদা কমেছে। তারইমধ্যে কমেছে রুপোর দামও। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২.৪৬ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী শুক্রবার মার্কিন কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশের আগে সতর্ℱকভাবে পা ফেলছেন ♌লগ্নিকারীরা। আগেভাগে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। তবে এক আউন্স হলুদ ধাতুর দাম গুরুত্বপূর্ণ ১,৭৫০ ডলারের স্তরের উপরে থাকায় তেমন চিন্তিত নন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, স্বল্পকালীন সময় এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৪২ ডলার থেকে ১,৭৭৪ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
উৎসবের মরশুমে ভারতে সোনা কেনার জন্য কি আরও অপেক্ষা করা উচিত নাকি এখনই কিনে নেওয়া উচিত?
আইআইএফএল সিকিউরিটিজের অনুজ গুপ্ত জানান, চলতি মাসের প্রথম ১৪-১৫ দিনে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম আরও কমে ৪৫,৫০০ টাকা থেকে ৪৫,০০০ টাক🐻ায় নেমে যেতে পারে। কারণ সেই সময় মার্কিন ডলার শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যখনই মার্কিন ডলারের দুর্বলতার কꦯোনও লক্ষণ ধরা পড়বে, তখনই আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৫০ ডলার থেকে ১,৭৬০ ডলারের গণ্ডি পার করে যেতে পারে। যা পরবর্তী এক মাসে ১,৮০০ ডলার থেকে ১,৮৫০ ডলারের স্তরে ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। তার প্রভাব পড়বে ভারতীয় বাজারেও। পরবর্তী এক মাসে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,০০০ টাকা থেকে ৪৮,৫০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
একইস🌌ুরে গঙ্গানগর কমিউনিটি লিমিটেডের অমিত খাড়ে জানান, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ৪৫,০০০ টাকা থেকে ৪৬,০০০ টাকার মধ্যে থাকলে সোনার লগ্নিকারীরা ভালো সুযোগ পাবেন। যা রেকর্ড দরের থেকে ১০,০০০ টাকারও কম। আগামী তিন মাসে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা বৃদ্ধি পেতে প🐻ারে।