ডঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে গꦓুগলের বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। তাঁর নামে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করল গুগল। উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম মহিলা চিকিত্সকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাদম্বিনীদেবী। ১৮৬১ সাল🌠ের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রথম নারী হিসেবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ১৮৮৪ সালে। ১৯ শতকের নিরিখে তা ছিল অভূতপূর্ব।
পরবর্তীকালে ভারতে মহিলা চিকিত্সকদের জন্যে এক নতুন পথ বিছিয়ে দিয়েছিলেন কাদম্বিনীদেবী। উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার কে? তা নিয়ꦉে বিতর্ক রয়েছে। কারণ কাদম্বিনীদেবী এবং আনন্দিভআই যোশী ১৮৮৬ সালে তাঁদের মেডিক্যাল ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। কাদম্বিনী দেবী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে থেকে পাশ করেন অপরদিকে আনন্দিভআই পাশ করেছিলেন আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় অবস্থিত মহিলাদের মেডিক্যাল কলেজ থেকে। তবে ১৮৮৭ সালে আনন্দিভাই মাকা গিয়েꦯছিলেন আচমকা।
কাদম্বিনীদেবীকে গুগলের এই সম্মানজ্ঞাপন বহু বছরের উপেক্ষার পর এসেছে। এর আগে ২০১৭ সালে হুন্দুস্তান টাইমস একটি রিপোর্ট করেছিল যাতে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। কীভাবে কুখামবাই রাউতকে সম্মান জানালেও কাদম্বিনীদেবীকে সম্মান জানাতে ভুলেছিল গুগল𝓡। উল্লেখ্য, রুখামবাইয়ের আটবছর আগে কাদম্বিনীদেবী নিজের বি.এ. ডিগ্রি পেয়েছিলেন। এরপর এশিয়ার প্রথম নারী চিকিত্সক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর তিনবছর পর তিনি প্রথম নারী হিসেবে ভারতী জাতীয় কংগ্রেসের ডায়াসে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
১৮৯২ সালে কাদম্বিনীদেবী যুক্তরাজ্যে যান চিকিত্সাসাস্ত্রে আরও পারদর্শী হয়ে উঠতে। সেখানে তিনি ডাবলিন, গ্লাসগ্লো, এডিনব্রাতে প্রশিক্ষণ নেন। ফিরে এসে তিনি কলকাতার লেডি ডাফ্রিব হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজে𒁃র কাজ শুরু করেন। ১৯২৩ সালের ৩ অক্টোবর নিজের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি জনসেবা করে আসেন।
কাদম্বিনীদেবী ভারতে নারীদের স্বাধীনচেতা হতে শিখিয়েছিলেন। তিনি নিজে পꦚ্রথা ভেঙেছিলেন এবং ভাঙতে শিখিয়েছিলেন। তিনি ব্রাহ্ম সমাজের নেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। ক✤াদম্বিনীদেবীর এই ডুডলটি তৈরি করেছে বেঙ্গালুরুতে বসবাসকারী বাঙালি আর্টিস্ট অদ্রিজা। এই কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত বলে জানান।