এবার মহানগর টোলিফোন নিগম বা এমটিএনএল সম্ভবত বন্ধ করে দিতে চলেছে সরকার। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ‘লাইভ মিন্ট’ এর খবরে। রিপোর্ট বলছে, সেক্ষেত্রে এমটিএনএলএর কর্মীদের ও তার কাজকর্ম বিএসএনএল-এর অফিসে স্থা💖নান্তরিত করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, টেলিকম সেক্টরে তুমুল প্রতিযোগিতার বাজারে এমটিএনএল ব্যাপক ক্ষত💝িতে চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে এমটিএনএলের মতো সংস্থার বন্ধ হয়ে যাওয়া কার্যত অবিশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। সরকারের গত পরিকল্পনার থেকে অনেকটাই আলাদা হতে পারে এই পদক্ষেপ,বলে মনে করছেন অনেকে। রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে এমটিএনএলের সমস্ত কার্যভার এবার আসতে চলেছ🐟ে বিএসএনএলের ওপর। দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের এই সংযুক্তিকরণ ঘিরে সরকার আগে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এমটিএনএলের ক্ষতির অঙ্ক।
এমটিএনএল-এর ক্ষতির অঙ্ক:-
২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এমটিএনএল ২,৯১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা সর্বশেষ আর্থিক বছরের ক্ষতির থেকেও অনেকাংশেই বেশি। ২০২২ অর্থবর্ষে এমটিএনএলের ক্ষতির অঙ্ক ছিল ২,৬০২ কোটি টাকা। অপারেশনস থেকে সংস্থার লাভের অঙ্ক পড়েছে। ২০২২ অর্থবর্ষে অপারেশনসে লাভের অঙ্ক ১,০৬৯ কোটি ছিল যা ২০২৩ অর🔯্থবর্ষে ৮৬১ কোটি হয়েছে। যেখানে সংস্থার ব্যায় ৪২৯৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪,৩৮৪ কোটি টাকা ওই একই সময়কালে। ২০২২ সালে সংস্থার বাজারে ঋণের পরিমাণ ১৯,৬৬১ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৩,৫৫০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৬,৯৮১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে, ৮,১৬১ কোটি টাকা। এর আগে, ২০১৯ সালে ৬৯,০০০ কোটি টাকার একটি প্যাকেজের অনুমোদন করে কেন্দ্র। তারমধ্যে যেমন ছিল বিএসএনএ ও এমটিএনএল কর🧸্মীদের আগাম অবসরের স্কিম, ছিল ফোরজি পরিষেবার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্পেকট্রামের বিষয়ে সহায়তা, এছাড়াও ঋণ থেকে সংস্থাকে তুলে আনতে একাধিক পদক্ষেপ। তবে শেষমেশ সেই সমস্ত দিক থেকে ধাক্কা খেয়েছে সংস্থা। এদিকে, দুই সংস্থার সংযুক্তিকরণের পদক্ষেপও ভাবা হয়েছিল বলে খবর। সেই জায়গা থেকে এই বড় পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভারতের সরকারি ক্ষেত্রে বড় দিক।
এই খবরটি আপনি পড🌟়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক