হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আগামী দশ দিনে দেশে প্রায় ৫০ হাজার ব্যক্তি কর🐬োনায় আক্রান্ত হয়ে যাবে🎐ন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এদের অনেকের ক্ষেত্রেই উপসর্গ খুব ক্ষীণ। সেইরকম কেসে হোম আইসোলেশন করা যেতে পারে, বলে সোমবার জানাল কেন্দ্র। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই কথা বলেছিলেন সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে। কিন্তু পরে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর বলে যে শুধু করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম আইসোলেশন চলতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে মাইল্ড সিম্পটম বা প্রি-সিম্পটোম্যাটিক হলে তাদের বাড়িতেই আইসোল🐬েট করে দেওয়া যেতে পারে। যদি তাদের ♉বাড়িতে যথেষ্ট জায়গা থাকে যেখানে অন্যদের সংস্পর্শে আসবে না সেই ব্যক্তি, তাহলেই এরকম হোম কোয়ারেন্টাইন করা যেতে পারে।
তবে প্রাথমিক ভাবে তাদের হাসপাতালে যেতে হবে। চিকিত্সকরা নির্ণয় করবেন কোনও করোনা পজিটিভ ব্যক্তিকে হোমꦑℱ আইসোলেশনে রাখা সম্ভব কিনা। এখনও পর্যন্ত নিয়ম ছিল, সমস্ত করোনা রোগীদের হাসপাতালে চিকিত্সা করতে হবে।
নিয়ম হচ্ছে চিকিত্সকরা রোগীদের খুবই স্বল্প উপসর্গ, স্বল্প উপসর্গ, কিছুটা অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ-এই চার শ্রেণিতে বিভ🍃ক্ত করেন। সেই অনুযায়ী রোগীদের কোভিড কেয়ার সেন্টার, কোভিড হেল্থ সেন্টার বা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোভিড কেয়ার সেন্টার কোনও হাসপাতাল নয় মূলক কোনও হোটেল, লজে অস্থায়ী ফেসিলিটি। বরিষ্ঠ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন যে ৮০ শতাংশ কেসে উপসর্গ তেমন থাকে না। তাই বাড়িতে থাকা যেতে পারে। কিন্তু কিছু নিয়ম এই সব ল༺োকের মেনে চলা উচিত। এর মধ্যে অন্যতম হল যেখানে কোভিড চিকিত্সা হয় এমন কোনও হাসপাতালের কাছাকাছি থাকা যাতে শরীর খারাপ হলেই সেখানে চলে যেতে পারেন তাঁরা।
জেলা পর্যবেক্ষক অফিসারদের নজরে থাকবেন এমন রোগ🥂ীরা। যারা বাড়ির লোক, তাদের নিয়ম অনুযায়ী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেতে হবে। তাদের ওপরেও নজরদারি রাখা হবে শারীরিক হাল কেমন আছে সেটা দেখার জন্য।
রোগীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে দিতে হবে ও সবসময় ফোনটি চালু রাখতে হবে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্ত ২৯৪৩৫, মৃত ৯৩৪। আগামী দিনে রোগীর সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে,🍌 সেই অনুমান করেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।