দীཧর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠছিল। অবশেষে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত কমানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।
এমনিতেই দেশে চাকরির মেয়🐟াদ কমার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। কমছে চাকরির সুরক্ষা। কোনও সংস্থায় টানা পাঁচ বছর কাজের মাত্রাও কমছে। চুক্তির ভিত্তিতে কাজের নিয়োগের কারণে নিজেদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কর্মীরা। মিলছে না গ্র্যাচুইটি। সেজন্য গ্র্যাচুইটির পাঁচ বছরের ন্যূনতম শর্ত কমিয়ে এক থেকে তিন বছরের মধ্যে করার দাবি তোলা হচ্ছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, 🥀‘বিভিন্ন মহল থেকে গ্র্যাচুইটির সীমা কমানোর দাবি করা হয়েছে। কীভাবে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পাঁচ বছরের সীমা কমানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তা সম্ভবত কমানো হবে। শ্রম বিষয়ক সংসদীয় কমিটিও🍒 (গ্র্যাচুইটির) ন্যূনতম সীমা কমানোর সুপারিশ করেছে এবং তা সামজিক সুরক্ষা কোডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
শ্রম বাজারের বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্র্যাচুইটির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের সীমা পুরনো হয়ে গিয়েছে এবং আর কর্মীদের স্বার্থ পূরণ করে না। শ্রমিক সংগঠনগুলি হামেশাই অভিযোগ করে, গ্র্যাচুইটির পাওয়ার শর্ত পূরণের ঠিক আগে অনেক সংস্থাই কর্মীদের বরখাস্ত করে দেয়, যাতে নিজেদের খরচ বাঁচাতে পারে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। ‘জিনিয়াস কনসালটিং’ নামে একটি কর্মী প্রদানকারী সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ আক পি যাদবꦆ বলেন, ‘দীর্ঘকালীন কর্মসংস্কৃতির উপর জোর দেওয়ার জন্য পাঁচ বছরꦆের সীমা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বাস্তবটা আলাদা। আমার মতে, দু'তিন বছরের গ্র্যাচুইটি সীমা বেশি ভালো। এক বছরের (সীমা) হয়তো বাস্তববাদী ধারণা নয়।’
অপর এ📖ক সরকারি আধিকারিকের মতে, চাকরির ধরনে পরিবর্তনের ফলে গ্র্যাচুইটির ন্যূনতম সীমা কমানোর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর পরে ফিক্সড-টার্ম কর্মসংস্থানের (কর্মী ও সংস্থার মধ্যে চুক্তি, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়) প্রবণতা ๊আরও বাড়বে। ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড’-এও ফিক্সড-টার্ম কর্মসংস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। কারণ চাকরির সুরক্ষার থেকে কর্মসংস্থান তৈরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে শ্রম মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলার কোনও সরকারি তথ্য নেই। সামাজিক সুরক্ষা কোডের রিপোর্টে সব শ্রেণির কর্মীদেরই গ্র্যাচুইটির আওতাভুক্ত করার সুপ๊ারিশ করেছে শ্রম বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।