ঘটনা মহারাষ্ট্রেღর ভিওয়ান্ডির। সেখানের এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে স্বামীকে জোর করে ভর্তি করানোর অভিযোগ রয়েছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্বামী গুটখা আসক্ত হওয়ায় তাঁকে স্ত্রী জোর করে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছিলেন বলে কোর্টকে জানানো হয়েছে। সেই মামলায় শেষমেশ ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ‘আটক’ হওয়া ব্যক্তিকে খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।
বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি মোহিত দেরে ও গৌরী গডসের এক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। সেখানে ওই আসক্ত ব্ꦜযক্তির এক আত্মীয় কর্পাস পিটিশন দায়ের করেছিলেন। আসক্ত ব্যক্তির ভাই বর্তমানে ইউএই নিবাসী। তিনি একচি ইমেল মারফৎ তাঁর এক আত্মীয়কে খুঁজে বের করতে বলেন নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি তাঁর দাদাকে। কারণ দাদার খুব শিগগিরই প্রয়োজন ছিল হার্নিয়া অপারেশনের। ওই ই-মেলটি আসে ১৬ জুলাই। এদিকে, ইউএই থেকে এই ইমেল পেয়ে ও গুটখা আসক্ত ব্যক্তির আত্মীয় খোঁজ শুরু করেন। জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কে পতন এসেছে। দাম্পত্য কলহের জেরে ব্যক্তির মানসিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে ‘অমূল্য প্রেম ফাউন্ডেশন’ এ ভর্তি করা হয়েছে, বলে জানতে পারেন আত্মীয়। এই ভর্তির প্রক্রিয়া ব্যক্তির স্ত্রী করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পিটিশনে কোর্টকে বলা হয়েছে, কোনও কারণ ছাড়া ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে ব্যক্তিকে।
( ব্যাঙ্কে মাত্র ১৭ টাকা রেখে ১০০ কোটির চেক প্রণামী বাক্সে ফেললেন ভক্🍨ত! কোন মন্দিরে ঘটল এমন?)
পিটিশনের সাপেক্ষে ‘অমূল্য প্রেম ফাউন্ডেশন’ এর মালিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়ান নেয় ভিওয়ান্ডি পুলিশ স্টেশন। ‘অমূল্য প্রেম ফাউন্ডেশন’ এর মালিক জানান, ওই ব্যক্তির হার্নিয়া অপারেশনের প্রয়োজন নেই। এরপরই কোর্ট বলছে, এই কথাতেই বোঝা যাচ্ছে যে ‘ওই ব্যক্তিকে জোর করে নেশামুক্তি কেন্দ্রে স্ত্রীর কথাতে ভর্তি করা হয়েছে।’ এদিকে, কোর্টের কাছে যে সমস্ত নথি এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এছাড়াও জানা গিয়েছে, স্ত্রীই টাকা পাঠাচ্ছিলেন ওই কেন্দ্রে, যাতে তাঁর স্বামীকে সেখানে রাখা হয়। সবশুনে কোর্ট জানায়, যে এটি স্পষ্ট হয়েছে, যে কেবলমাত্রা স্ত্রীর চাপে পড়েই ওই ব্যক্তিকে ‘অকারণে’ নেশামুক্তি কেন্দ্🧸রে রাখা হয়েছে।