ইদানিং একটা ট্রেন্ড সমাজের বুকে খুব দেখা যাচ্ছে। আর তা হল পরকীয়া সম্পর্ক। এবার এই বিষয়ে যুগান্তকারী রায় দিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, কোনও মহিলা বিবাহ ব🤪হির্ভূত সম্পর্কে জড়িত হলেই তিনি ভাল মা নন, এটা কখনই বলꦕা যায় না। এমনকী তাঁকে তাঁর সন্তানের দায়িত্ব দিতে অস্বীকারও করা যায় না। চার বছরের শিশুকন্যাকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক যুবতী। তাতেই এই রায় শোনান বিচারপতিরা।
আদালত সূত্রে খবর, শিশুকন্যাকে মায়ের হেফাজতে রাখতে রাজি ছিলেন না তাঁর স্বামী। কারণ যুবতীর স্বামী অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়াল জানান, পুরুষতান্🐟ত্রিক সমাজে মহিলাদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে বরাবর সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজেই মহিলাদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। সেটা বিচার করলে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগগুলি ভুয়ো। আর তর্কের খাতিরে আমরা যদি ধরেও নিই কোনও মহিলা পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তাহলেও তার অর্থ এটা হয় না যে, তিনি ভাল মা হতে পারবেন না। তাঁর সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না।’
এই রায় প্রকাশ্যে আসার পর জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একপক্ষ বলছেন, মহিলারা ন্যায়বিচার পেলেন। আর একপক্ষ বলছেন, মহিলাদের ক্ষম❀তা–বৃদ্ধি করে আদালত সমাজের ক্ষতি করল। কিন্তু আদালতের কাছে দ্বারস্থ ওই মহিলার ক💜্ষেত্রে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ও স্থায়ী রোজগেরে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছ থেকেও সাহায্য পান তিনি। তাঁর স্বামী একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি ভারতে বাস করেন। তাই আদালত একক মাতৃত্বের পক্ষেও রায় দিয়েছে। বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়ালের মতে, ‘আধুনিক সমাজব্যবস্থায় দেখা যায়, একক অভিভাবকের কাছে বড় হওয়া সন্তানেরা অনেক সময়ই দায়িত্ববান প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বেড়ে উঠে দেশকে সমৃদ্ধ করেন।’