শীဣঘ্রই বেশ কিছু পণ্য়ের দাম বাড়াতেꦦ চলেছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড (এইচইউএল)।
সংবাদমাধ্যমে প্র🐠কাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, 'ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস' বা এফএমসিজি সংস্থাগুলিকে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেই কারণেই, তাদের কিছু পণ্য়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিꦫলিভার।
প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, স্কিন ক্লিনজিং অর্থাৎ ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য বা প্রসাধনী এবং চা পাতার দাম বাড়ানো꧟ হবে।
প্রসঙ্গত, এই একই কারণে টাটা গোষ্ঠীর তরফেও চায়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নে💛ওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার যে সমস্ত পণ্য বাজারে বিক্রি ও সরবরাহ করে, তার একটা বড় অংশ হল চা পাতা এবং অপরিশোধিত পা👍ম তেল। অথচ, সম্প্রতি এই পণ্যগুলিই মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পড়েছে। যার জেরে পুরোনো দামে পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যায় পড💎়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার মুম্বইয়ে আয়োজিত একট🐠ি সাংবাদিক সম্মেলনে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার রীতেশ তিওয়ারি বিষয়টি নিয়ে বিস্💜তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি জানান, 'ডিসেম্বর কোয়ার্টারে (আর্থিক বছরের হিসাব অনুসারে তৃতীয় ত্রৈমাসিক) আপনারা দেখতে পাবেন, স্কিন ক্লিনজিং এবং চা পাতার দাম ক্রমানুসারে বাড়🐠ানো হবে। তার মধ্যে কয়েকটি পণ্য়ের বর্ধিত দাম ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এসেছে। বাদ বাকি পণ্যগুলির দামও এই ডিসেম্বরের মধ্যেই বাড়ানো হবে।'
রীতেশ জানিয়🐭েছেন, অপরিশোধিত পাম তেল এবং চা পাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরেই তাঁদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অপরিশোধিত পাম তেল ও চা পাতার দাম যথাক্রমে ১০ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রীতেশের বক্তব্য, ২০২৪-২৫ অরꦓ্থবর্ষের তৃতীয় ▨ত্রৈমাসিকের মধ্যে (অর্থাৎ, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে) পণ্য়ের পরিমাণ যতটা না বাড়বে, তা থেকে বেশি বাড়বে পণ্য়ের দাম।
প্রসঙ্গত, চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) এইচইউএল-এর নিট মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে। গত বছর এই সময় সংস্থার লাভ হয়েছিল, ২,৭১৭ কোটি টাকা🍨। সেখানে এবছর ওই সময়সীমার মধ্যে সংস্থার মুনাফার পরিমাণ কমে হয়েছে ২,৬১২ কোটি টাকা। যার অর্থ হল, লাভের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ।
অথচ, গত বছরের তুলনায় এবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সামগ্রিকভাবে সংস্থার পণ্য বিক্রি বেড়েছে। যদিও সেই পরিমাণ খুবই সামান্য। এবꦑছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পণ্য বিক্রি বেড়ে হয়েছে ১৫,৩১৯ টাকার।
সংশ্লিষ্ট 🐓মহলের দাবি, গ্রামীণ বাজারে বিক্রি কিছুটা বাড়লেও মূলত শহরগুলিতে বৃদ্ধি সেভাবে ঘটছে না। ফলত, বাজারের সামগ্রিক বৃদ্ধির হাতে চাপ তৈরি হচ্ছে।