এবার ২১শের মহারণে ফের ক্ষমতায় আসার পরেই তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিলেন এবার জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারে জোর দেওয়া হবে। সেই মতোই ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূলের নামে প্রচার হয়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় বাধাও আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যে স্থির তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে ২০১১ সালে বামফ্রন্টকে উৎখাত করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই বাম শাসিত কেরলে সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছে তৃণমূল। কেরলের বিভিন্ন জেলায় দিদির নামে, দিদির ছবি দিয়ে হোর্ডিং টাঙানো হচ্ছে। সেখানে লেখা 'CALL DIDI, SAVE INDIA, DELHI CHOLO, '। দিদিকে ডাকো, দেশ বাঁচাও, দিল্লি চলো। হোর্ডিংয়ের একপাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। অন্যদিকে তৃণমূলের পতাকা। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই হোর্ডিংয়ের নীচে কেরল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি মনোজ শঙ্করেন্নালুর ছবি ও ফোন নম্বরও দেওয়া রয়েছে। মনোজের দাবি, ‘কেরলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সংগঠন গড়ে তোলার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সেকারণে প্রত্যেক হোর্ডিংয়ে নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।দিদিকে দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার স্লোগানকে সামনে রেখেই আমরা সংগঠন বাড়ানোর কাজে জোর দিয়েছি।’তবে শুধু তৃণমূল নেত্রীর ছবি দেওয়াই নয়, বাংলায় বাম শাসনকে উৎখাত করতে মমতার অবদানকেও তুলে ধরা হচ্ছে কেরলের মাটিতে। মঙ্গলবার এর্নাকুমালে দলের সাংগঠনিক বৈঠক হয়। সেখানে ৫১জনের কমিটি তৈরি হয়েছে। মমতার বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা কেরলে তুলে ধরার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বাংলায় কীভাবে বাম জমানায় তৃণমূল নেত্রী লড়াই চালিয়ে যেতেন সেকথা নানাভাবে কেরলের মানুষের সামনে তুলে ধরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দল থেকে নেতা কর্মীরা কেরলের তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেছেন।