চিনের পরিকল্পিত এবং পূর্ব-নির্ধারিত পরিকল্পনার কারণেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গালওয়ান উপত্যকা। তার জেরে সেখানে দু'দেশের সেনার সংঘর্ষ বেঁধেছিল। বুধবার চিন🐓ের🍌 বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উইকে কড়া ভাষায় একথা জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে খুব একটা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি, কীভাবে পূর🅘্ব লাদাখের গালওয়ানে দু'দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ꩵষ বেঁধেছিল। বুধবার অবশ্য চিনা বিদেশমন্ত্রীকে সেই ঘটনার পুরো বর্ণনা দেন জয়শংকর।
তিনি জানান, উচ্চপদস্থ মিলিটারি কম্যান্ডারদের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমন এবং সেনা সরানোর ক্ষেত্রে গত ৬ জুন ♛ঐক্যমতে পৌঁছেছিল দু'দেশ। সেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গত সপ্তাহ জুড়ে দু'দেশের সামরিক বৈঠক হয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে অর্থাৎ ভারতের দিকে গালওয়ান উপত্যকায় একটি কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছিল চিনা সেনা। তা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। তারই মধ্যে চিনা সেনার পরিকল্পিত এবং পূর্ব-নির্ধারিত পদক্ষেপ করেছিল। যা সংঘর্ষ বাঁধার ক্ষেত্রে সরাসরি দায়ী ছিল।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান পরিবর্তন না করা নিয়ে দ🧸ু'দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্য পরিলক্ষিত হয়েছিল। একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ৬ জুনের বৈঠকে ভারত ও চিন সেনা যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং প্রোটোকল মেনে চলার পক্ষে একমত হয়েছিল। পাশাপাশি কঠোরভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা মেনে চলা এবং কোনও একতরফা পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ফোনালাপের পর সাউথ ব্লকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যাবতীয় পরিস্থিতি দায়িত্বপূর্ণভাবে সামলানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই নেতা এবং ৬ জুনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু'পক্ষই সচেতনভাবে যাবতীয় পদক্ষেপ করবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বি🦄ঘ্নিত করবে, কোনও পক্ষই এমন কোনও কাজ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই বিদেশমন্ত্রী।
যদিও ফোনালাপের পর চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একেবারে আগ্রাসী বিবৃ🥂তি প্রকাশ করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে, ফোনে জয়শংকরকে ভারতের ‘সামনের দিকে বাহিনী’-কে নিয়ন্ত্রণের কথা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। মান্দারিনে লেখা সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আবারও ভারতের কাছে চিন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পুরো বিষয়ে ভারতকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা, দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া, সামনের দিকে বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ এবং এরকম ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে যাবতীয় প্ররোচনামূলক কাজকর্ম বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।’ যথারীতি সংঘর্ষের যাবতীয় দায় ভারতের উপর চাপিয়ে বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘গালওয়ান উপত্যকায় যখন পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গিয়েছিল, তখন ওরা (ভারত) ইচ্ছা করে প্ররোচনা দিয়েছিল, এমনকী হিংসাত্মকভাবে চিনা জওয়ান ও অফিসারদের উপর হামলা চালিয়েছিল, যখন তারা আলোচনার জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে যাচ্ছিল।’ যদিও সেই অভিযোগ মঙ্গলবারই উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।