সম্ভাবনা ছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি কাবুল বিমানবন্দর খোলা সম্ভব হবে, তা অনেকেই ভাবেননি। আমেরিকা আফগানিস্তান ছাড়ার পরে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে যাত্রীবাহী বিমান ছাড়ে কাতারের উদ্দেশে। যা কাতারে পৌঁছে গিয়েছে। তালিবান জানিয়েছে, বৈধ কাগজ থাকলে তারা বিদেশি নাগরিকদের বিমানে উঠতে দেবে। কাতার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিমানে প্রায় ১৫০ মানুষ ছিলেন। তার মধ্যে বহু আমেরিকান, ক্যানাডার নাগরিক এবং কিছু জার্মান ছিলেন। দোহার মধ্যস্থতায় এভাবেই আরও মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কাতারের বিদেশমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বিমান চালাতে দেওয়ার জন্য তালিবানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই কাবুল বিমানবন্দর খোলা নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। প্রয়োজনে কাতার সে কাজে তালিবানকে সাহায্য করবে বলেও জানানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা সফল হলো।বস্তুত, বিমানবন্দর খোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল পশ্চিমি দেশগুলি। কাতারে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন জার্মান বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনও সম্প্রতি এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন কাতারের সঙ্গে। কাতার প্রশাসন জানিয়েছে, বিমানে ১২০ থেকে ১৫০ জন মতো যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে অধিকাংশই আমেরিকান। বৃহস্পতিবারের বিমানে ১৫ জন জার্মান ছিলেন বলে হাইকো মাস জানিয়েছেন। কাতারকে তিনি ধন্যবাদও দিয়েছেন।দোহায় বৃহস্পতিবার বিমানটি নামার পরেই হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, তালিবানের সঙ্গে বিজনেস মডেলে আলোচনা চলছে। তারই ফলে বিমান চালানো সম্বব হয়েছে। বিজনেস শব্দটি ব্যবহার করে কূটনৈতিক শব্দটিকে এড়ানোর চেষ্টা করেছে হোয়াইট হাউস। এমনই মনে করছেন অনেকে। কারণ, এখনও তালিবানকে মান্যতা দেওয়ার জায়গায় পৌঁছায়নি মার্কিন প্রশাসন। কাতারের মাধ্যমেই বাকি মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করছে অ্যামেরিকা। একইসঙ্গে আফগানিস্তানে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা আফগানদেরও এই পদ্ধতিতেই দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।