বেঙ্গালুরুর পৈশাচিক মহালক্ষ্মী খুন কাণ্ডে প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কীভাবে এই ঘটনার পর মূল অভ🍨িযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায় কর্ণাটকের রাজধানী শহর থেকে🌠 পালিয়ে ওড়িশার ভদ্রকে পৌঁছে যায়!
উল্লেখ্য, চলতি সেপ্টেꦺম্বর মাসের শুরুর দিকেই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা, একটি পোশকের দোকানের কর্মরতা মহালক্ষ্মীকে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহের ৫৯টি টুকরো করা হয়! সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে একের পর এক তথ্য যত প্রকাশ্যে আসছে, ততই সারাদেশের মানুষ চমকে উঠছে।
শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায় খুনের পরই ভদ্রকে পালিয়ে যায়। নিউজ এইটিনে প্রকাশিত খবর অনুসারে, এই কাজে মুক্তিকে সাহায্য ক🐬রেন তারই দুই ছোট ভাই। গ্রেফতারি এড়াতেই ওড🃏িশায় পালায় মুক্তি।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ছোট ভাইদের কাছে নিজের অপরাধ কবুল করেছিল মুক্তি। তার ওই দু🐟ই ভাই হলেন যথাক্রমে - স্মৃতিরঞ্জন রায় ও সত্যরঞ্জন রায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্ম🦩ৃতিরঞ্জনও বেঙ্গালুরুতেই কর্মরত। তিনি তাঁর দাদাকে শহꦫর ছেড়ে পালানোর জন্য এক স্কুটার দিয়ে সাহায্য করেন। অন্যদিকে, সত্যরঞ্জন হলেন ওডিশার বরমপুরের বাসিন্দা। ঘটনার পর ন'দিন তিনি তাঁর দাদাকে আশ্রয় দেন।
তদন্তকারীরা আরও জানতে ♑পেরেছেন, মুক্তির এই দুই ভাইয়ের মধ্য়ে একজনও অপরাধের বিষয়টি পুলিশকে জানানি বা জানাতে আদৌ চাননি। কারণ, তাঁদের ভয় ছিল, ঘটনা প্রকাশ্যে এলেই তাঁদের দাদা বিপদে পড়ে যাবܫেন!
বেঙ্গালুরুতে ইতিমধ্যেই স্মৃতিরঞ্জন রায়কে গ্রেফত💖ার করা হয়েছে। অন্যদিকে, সত্যরঞ্জনকেও জেরা করা হচ্ছে। তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁর দাদা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তার প্রধান কারণ ছিল মূলত দু'টি। প্রথমত, মহালক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং দ্বিতীয়ত, আর্থিক অনটন।
সত্যরঞ্জনের দাবি, য🦂ে দিন মহালক্ষ্মী খুন হন, সেদিন তিনি মুক্তিরঞ্জনকে শাসিয়েছিলেন এবং ছুরি দেখি হুমকি দিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে দাবি করা হচ্ছে, মুক্তি শ্বাসরোধ করে মহালক্ষ্মীকে খুন করে এবং তারপর মাংস কাটার ছুরি দিয়ে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে।
এরপর তিনি স্মৃতিরঞ্জনকে সব জানায় এবং তাঁর কাছে সাহায্য ওꦉ পরামর্শ চায় মুক্তি। স্মৃতিরঞ্জন দাদাকে ওডিশায় পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁ𒊎র ভয় ছিল, যেকোনও সময় পুলিশ তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করতে পারে।
এরপর টানা ন'দিন মুক্তি তার ভাই সত্যরঞ্জনের সঙ্গে থাকে। তারপর, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভদ্রকে নিজের পৈতৃক ভিটেয় চলে𝓰 যায়। সত্য পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর দাদা অপেক্ষা করছিলেন যাতে তদন্তের গতি কিছুটা শ্লথ হয়।
সেটা হলেই সে বেঙ্গালুরু ফিরত এবং মহালক্ষ্মীর দেহ লোপাট করার পাকা ব্যবস্থা করত। তদন্ত 'ঠ🧔ান্ডা' না হওয়া পর্যন্ত সে গা ঢাকা দিয়ে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেছিল।
জেরায় সত🍷্যরঞ্জন আরও জানিয়েছেন, মহালক্ষ্মীর সঙ্গে মুক্তির সম্পর্ক ক🗹্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছিল। মহালক্ষ্মী তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন এবং নিয়মিত মুক্তির কাছ থেকে টাকা দাবি করতেন।
অন্যদিকে, মুক্তি কোনওরকম প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না। উপরন্তু, মহালক্ষ্🍒মী যেভাবে তাকে ব্ল্যাকমেল করছ𝓰িলেন বলে অভিযোগ, সেটাও তার সহ্য হচ্ছিল না।
তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, শুধুমাত্র ছোট দুই ভাই নয়, মুক্তি তার মায়ের কাছেও খুনের কথা স্বীকার করেছিল। এরপর🎀 গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাড়ির কাছেই একটি গ্রামে একটি গাছে মুক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট।
এরপ𝓰রও অবশ্ꦑয পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রাখে। তাদের উদ্দেশ্য, মুক্তিরঞ্জনের দুই ভাই যা বলছেন, তা আদৌ সত্যি কিনা, সেগুলি যাচাই করে দেখা ও নিশ্চিত হওয়া।