HTLS 2022: আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় সুনিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতের শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্বের প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কোভিড, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করেন তিনি। আর এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের সরবরাহ চেইনগুলি নিরবিচ্ছিন্নভাব♊ে সচল রাখার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
বিদেশমন্ত্রী বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিক পরিস্থিতি ও অনিশ্চয়তার যুগে বিশ্বায়নের মডেল সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বরং অন্য পন্থার কথা বলছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'আত্মনির্ভর ভারত' ভাবনার উপর ভিত্তি করে 'একটি নতুন যুগের' নীতি অবলম্বন করার বার্তা দিলেন জয়শঙ্কর। আরও পড়ুন: Axis Bank-এ ১.৫৫% শেয়ার বেচে দিচ্ছে মোদী স🥃রকার! কবে বিক্রি করা হচ্ছে?
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রধান সম্পাদক আর সুকুমারের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপ🍸ী কথোপকথনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং G20-র সভাপতিত্ব নিয়ে মোদী⛎ সরকারের ভাবনা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বিশ্বায়ন মডেলের চ্যালেঞ্জ
২০০৮ সাল। সেই সময় থেকেই বিশ্বায়নের ভাবনা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বি🍌শ্ব অর্থনীতি যেখানে ভঙ্গুর, সেখানে পুরো ভাবনাটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। এর কারণ হিসাবে ব্রেক্সিটের মতো রাজনৈতিক ঘটনা রয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসাবে), অর্থনৈতিক কারণও রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের দেশে অনেকেই অস্বীকার করেছিলেন। আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের স্বার্থের কথা না ভেবে বিশ্বায়নের অংশ হওয়ার কথা ভাবতাম।
করোনার সময় থেকে পুরো ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই সময়ে প্রত্যেকটি দেশ নিজেদের এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সেটিই হয় তো এই আত্মনির্ভরত🐭ায় আরও অনুঘটকের কাজ করে।
তাছাড়া একের পর এক আন্তর্জাতিক ♈সমস্যা, ইউক্রে𝓀ন যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন- এগুলি বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে।
ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বর্তমানে একটি কঠিন পরিস্থিতি রয়েছে। এম෴ন উত্তাল সমুদ্রে দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাই দৃঢ় ও সুচিন্তিত নেতৃত্বের প্রয়োজন।
আত্মনির্ভর ভারত
সমস্ত প্রধান অর্থনীতির মধ্যে একটি সাধারণ বিষয়েই উদ্বেগ রয়েছে। সবাই বুঝতে পারছে যে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আম🌊ার মতে, এগুলি আলাদা আলাদা, বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবꦕে ভাবা উচিত নয়। বরং সামগ্রিক জটিলতার একাধিক স্তর হিসেবে ভাবা উচিত। তাহলে আমাদের কী করা উচিত্?
আজ অনেক দেশই নিজেদের আত্মনির্ভর করে তুলতে চাইছে। তারা একে বি🐓ভিন্ন ন𓄧ামে ডাকছে। তবে সকলেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে।
সঠিক সরবরাহ শৃঙ্খল খুঁজে পাওয়া🐻র উপরেই অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে।
তাছাড়া এখন ডিজিটাল বিশ্বের বিষয়েও ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। 'আপনার ডেটা কোথায়', 'সেটি কীভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়', 'কে তা প্রক্রিয়াকরণ করে' এমন প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি আমরা। কিন্তু ভেবে দেখুন, সামান🌊্য কিছুটা সময় আগেও আমাদের টেলিকম নেটওয়ার্কে কী আছে না আছে তাই নিয়ে কেউ বিশেষ মাথা ঘামাতেন না।
আমি মনে করি এখন স্বাভাবিকভাবেই সকলের উদ্বেগ বাড়ছে। আমার মতে, 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর লক্ষ্যকে কখনই আদিম বা অ-বিশ্বায়ন বা সুরক্ষাবাদ হিসেবে ভাবা উচিত নয়। আমদের বিশাল দেশ। তার এক বৃহত্ অংশ স্পর্শকাতর। ফলে আমদের এটা দেখতে হব𒀰ে যে, কীভাবে আমরা এই কঠিন যুগে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। কীভাবে আমরা এই ক্ষমতা তৈরি করতে পারি। আর সেই কারণে আত্মনির্ভর ভারত মূলত একটি মানসিকতা, সক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিবর্তন।
বিশ্বায়ন মডেল
এক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হয় যে, যেখানে কোনও জিনিস(কোন পণ্য বা পরিষেবা) তৈরি করা সবচেয়ে সস্তা, সেখানেই যাওয়া উচিত্। আমার এই ভাবনার সঙ্গে একটি মৌলিক দ্বিমত আছে। কারণ অন্য দেশে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে বলে সেখান থেকে আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের দেশের অর্থনীতির কোনও লাভ হচ্ছে না। আমাদের নিজেদের দেশের কোনও শক্তি বাড়ছে না, সাপ্লাই চেন তৈরি হচ্ছে না। আর এর ফলে জিডিপি যে✅মনই হোক না কেন, বেকারত্বও কমছে না।
আপনার কি সত্যিই মনে হয় যে অন্য কেউ সস্তায় করছে, সেটা কিনে এনে আমাদের ভবিষ্যত চল🌃বে? আমাদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব চাই। যাতে আমরা নিজেদের দেশেই সব তৈরি করে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। ভারতে 🎶২০১৪ সালের আগে সেটারই অভাব ছিল।
ভারতের G20-র সভাপতিত্ব
ইন💎্দোনেশিয়ার অধীনে G20 শীর্ষ সম্মেলন এখনও বাকি। ফলে ভারতের সভাপতিত্বের জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের ভূমিকা আছে?
এখনও এই প্রশ্নের সময় আসেনি। আমার ধারণা, যไে দেশগুল🎃ি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর ভাবনায় বিশ্বাস করে যে, 'এটি যুদ্ধের যুগ নয়', তারা এটাও বুঝবে যে, জাতীয় সমস্যার কখনও যুদ্ধের ময়দানে মীমাংসা করা যায় না। আলোচনার টেবিলে ফিরে আসাটা জরুরি।
ভারত-চিন সম্পর্ক
যতক্ষণ না সী🌺মান্ত এলাকায় শান্তি না আসে, যতক্ষণ না চুক্তি প্রতিপালিত হয়, এবং স্থিতাবস্থা আনার প্রচেষ্টা দুই তরফেই করা হবে, ততক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ꩵনা। ২০২০ সালে যা ঘটেছিল তা একটি পক্ষেরই দ্বারা পরিকল্পনা। তারাই আলোচনা থেকে সরে গিয়েছিল।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কে কী আমরা এগোতে পেরেছি?
সেই অর্থে কিছুটা এগিয়েছি বলা যেতে পারে। আগে একাধিক পয়েন্টে কিছু বিপজ্জনক স্থানে সামরিক মোতায়েন ছিল। কিন্তু সেই সমস্যাগুলির মীমাংসা করা হয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে। সেইগুলির উপর এখনও কাজ করা দরকার। এটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতি চিনের পক্ষে শুভও নয়। আরও পড়ুন: Ramdev: রামদেবের পতঞ্জলির ৫টি ওষুধ তৈরি বন্ধের🌱 বড় নির্দেশ, কারণটা জেনে𓂃 নিন
পাকিস্তান
ভারতের জনগণ বরাবরই পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক চায🌞়। ভারত সরকারও সেটাই চায🍌়। তবে, কোনও ভাল প্রতিবেশী সন্ত্রাসী কার্যকলাপে মদত দেয় না।