কেন এত মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট, সেটার কারণ ব্যাখ্যা করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ তাঁর পর্যবেক্ষণ, এটাই বিচারব্যবস্থার শক্তি। যে কꩵোনও মানুষ আশা করেন যে সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে।
শনিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সংবিধান রচিত হওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টকে এমন একটি জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হত, যেখানে আইনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংঘাত, রাজ্যের মানুষের মধ্যে সংঘাত, রাজ্যগুলির মধ্যে সংঘাত এবং কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের সমাধান করা হবে। যখন সংবিধান রচনা করা হচ্ছিল, যখন সংবিধানের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছিল, তখন আদালতের (সুপ্রিম কোর্ট) ব্যাপ্তি প্রশস্ত করা হয়েছিল। যাতে মানুষ সহজেই আদালতের কাছে পৌঁছাতে পা✤রেন।’
আরও পড়ুন: HTLS Live:🃏 ‘বিচারপতিরা মনের দিক দিয়ে খুব তরুণ’, বললেন CJ💖I চন্দ্রচূড়
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন, ‘আমাদের (সুপ্রিম কোর্ট) সীমা এতটাই প্রশস্ত যে অনেকের ধারণা, আমরা অকার্যকর হয়ে গিয়েছি। কারণ প্রচুর মানুষ আদালতের কড়া নাড়ছেন। একাংশ ধারণা হতে পারে, এত পরিসীমা বাড়ানো হয়েছে যে আদালত অকার্যকরী হয়ে উঠছে। অন্যভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যায় যে সেটার মাধ্যমে আমাদের বিচারব্যবস্থার শক্তি ফুটে উঠছে। কারণ যে কেউ আদালতের (স𓂃ুপ্রিম কোর্ট) দ্বারস্থ হতে পারেন। যে কারও জামিন মঞ্জুর না হলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ ব্যক্তি💖গত স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করতে পারেন। তাঁদের আশা থাকে যে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।’
সেইဣ কারণে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কত মামলা সামলে থাকেন, তার উদাহরণও দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘তাহলে আমরা যদি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে দেখব যে বছরে ১৮০ টি মামলা শোনে। ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ৮৫। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচা𝓀রপতি প্রতি সোমবার ৭৫-৮০ টি মামলার রায়দান করেন। শুক্রবার রায়দান করেন ৭৫-৮০ টি মামলার। মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গড়ে ৩০-৪০ টি মামলার রায়দান করেন। সেটা থেকেই বোঝা যাবে যে সুপ্রিম কোর্টের ব্যাপ্তি কতটা।’