বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার ও একাধি🌠ক এনডিএ ♒নেতা শনিবার তারারি, ভোজপুর জেলায় সভার আয়োজন করেন। নীতীশ কুমার বলেন, আমাদের দলের কিছু মানুষের ভুলের জন্য় আমি এনডিএ থেকে আরজেডিতে গিয়েছিলাম আগে। আমি দুবার এই ভুল করেছি। কিন্তু এবার আমি নিশ্চিত করছি যে আমি কখনও এনডিএ ছাড়ব না। আপনারা( সাংবাদিকরা) সবাই আমার কথার সাক্ষী থাকলেন। সেই সঙ্গেই আরজেডি কোনও উন্নয়ন করেনি বলে তিনি একহাত নেন। পিকে মিশ্র, পি রঞ্জনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শনিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, কয়েক দশক আগে প্রয়াত বিজেপি নেতা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন।
বিহারের আরায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ৭৩ বছর বয়সি এই নেতা বলেন, 'আমি প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীজির সরকারের মন্ত্রী ছিলাম। তিনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন। উনি আমাকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এখানে ওখানে কিছু ভুল হয়েছে, কিন্তু এখন আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
"আমরা দেখতাম কোনো কাজ হচ্ছে না। তাদের সরকারের আমলে সন্ধ্যার পর কেউ ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারত না। তাদের কারণে সংঘর্ষ হয়েছে। … আমরা ক্ষমতায় আসার পর কি কোনো সংঘর্ষ হয়েছে?' মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নীতীশ কুমার ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত ১৫ বছর রাজ্য শাসন করা রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে পরোক্ষ কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে নীতীশ কুমার বলেন, আমরা হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পিছিয়ে পড়া, দলিত এবং মহাদলিতদের জন্য কাজ করেছি... আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যও অনেক কাজ করেছি। মাদ্রাসাগুলিকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল এবং শিক্ষকদের সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমান বেতন দেওয়া হয়েছিল। ওরা (বিরোধীরা) ভোট নিচ্ছে, কিছুই করেনি।
১২ জন সাংসদ নিয়ে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল (ইউনাইটেড) এনডিএ সরকারে বিজেপির প্রধান শরিক।
লালুপ্রসাদের আরজেডির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে দু'বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এনডিএ-তে ফিরে আসেন নীতীশ কুমার।
সত্তরের দশকে জেপি আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক জীবন শুরু করা নীতীশ কুমার ২০১৩ সালে বিজেপির সঙ্গে ১৭ বছরের জোট ভেঙে আরজেডির সঙ্গে পুনরায় মিলিত হন।
তিনি ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং কংগ্রেসের সাথে মহাজোটের অংশ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং বিপুল বিজয় অর্জন করেছিলেন। তবে জোট বেশি দিন স্থায়ী হয়নি এবং কুমার এনডিএতে ফিরে আসার জন্য আরজেডিকে ফেলে দিয়েছিলেন।
তিনি এনডিএর অংশ হিসাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।♏ কিন্তু ২০২২ সালে জোট থেকে বেরিয়ে ফের মহাজোটে যোগ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আরজেডি সাংসদ মিসা ভারতী বলেন, তেজস্বী যাদব উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিয়োগপত্র কে বিতরণ করেছিলেন?... একসঙ্গে সাড়ে তিন লক্ষ মানুষকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এটা যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমি আশা করব রাজনীতিবিদরা বারবার এই ভুল করবেন, যাতে বিহারের মানুষ এর থেকে উপকৃত হতে পারেন।
তিনি বলেন, আম🌳রা সরকারের বাইরে যাওয়ার পর তারা কতগুলো নিয়োগপত্র বিতরণ করেছে?... এ কথা বারবার বলে তিনি কী প্রমাণ করতে চাইছেন? তার মানে ভিতরে কিছু একটা ঠিক নেই। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।